অন্যান্য

নেপালে নিখোঁজ হওয়া বিমান বিধ্বস্ত : ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:০৮, ৩০ মে ২০২২;  আপডেট: ০১:৩১, ২৯ অক্টোবর ২০২২

নেপালে নিখোঁজ হওয়া বিমান বিধ্বস্ত : ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর বিমানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে।

নেপালে নিখোঁজ হওয়া যাত্রীবাহী বিমানটি দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানের ২২ আরোহীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার দেশটির উত্তরাঞ্চলের মাসটেঙ্গ জেলায় বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও মরদেহগুলোর সন্ধান পায় উদ্ধারকারী দল। গতকাল নেপালের পোখারা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর নিখোঁজ হয় দেশটির বেসরকারি বিমান সংস্থা তারা এয়ারের ওই বিমান।

উদ্ধারকারী সূত্র জানিয়েছে, বিমানটিতে ১৯ জন যাত্রী ও ৩ জন কর্মীসহ মোট ২২ জন আরোহী ছিলো। বাকি দুজনের মরদেহের সন্ধানে উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। এ বিষয়ে নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল কর্ণ বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। আরেকজনের মরদেহ আমরা খুঁজে পেয়েছি এবং উদ্ধারকারী দল দুর্গম পার্বত্য এলাকা থেকে তা উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। অন্যজনের মরদেহও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

নেপালি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র ঘটনাস্থলের কিছু ছবি টুইটারে প্রকাশ করেছেন। এসব ছবিতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে। ২০ জনের মরদেহ উদ্ধারের পর উদ্ধারকাজ আজকের মতো সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

কানাডার প্রতিষ্ঠান ডি হাভিল্যান্ডের তৈরি এ বিমানটি গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে নেপালের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পোখারা থেকে যাত্রা করে। গন্তব্যস্থল জমসমে অবতরণের মাত্র পাঁচ মিনিট আগে বিমানটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই সময় বিমানে থাকা ২২ আরোহীর মধ্যে ৪ জন ভারতের, ২ জন জার্মানির এবং ১৬ জন নেপালের নাগরিক বলে এয়ারলাইনস সূত্র জানায়।

নেপালে এ পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এভারেস্টসহ বিশ্বের সুউচ্চ ১৪টি পর্বতের ৮টিই এ দেশে অবস্থিত। দেশটির আবহাওয়া হঠাৎ করেই পরিবর্তিত হয়। এ ছাড়া দেশটির বেশিরভাগ বিমানবন্দর পার্বত্য এলাকায় হওয়ার কারণে খারাপ আবহাওয়ায় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

২০১৮ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে কাঠমাণ্ডুগামী একটি বিমান রানওয়েতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে এতে আগুন ধরে যায়। ওই দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ৭১ জনের মধ্যে ৫১ জনই নিহত হয়। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের একটি বিমান কাঠমাণ্ডুতে অবতরণের সময় একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়ে এতে থাকা ১৬৭ জনের সবাই নিহত হয়।

সূত্র : বিবিসি।