অন্যান্য

ফিলিপাইনে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে ৫ উদ্ধারকর্মীর মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:৩৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২;  আপডেট: ০১:০৮, ২৯ অক্টোবর ২০২২

ফিলিপাইনে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে ৫ উদ্ধারকর্মীর মৃত্যু

বন্যার কারণে প্রায় ৭৪ হাজার বাসিন্দাকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে হয়েছে।

ফিলিপাইনে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে ৫ উদ্ধারকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী ম্যানিলার উত্তরে সান মিগেল শহরে উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে তাদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া বন্যার কারণে অনেক এলাকা ও বাড়ি-ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় ৭৪ হাজার বাসিন্দাকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হয়েছে। অনেকে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি-তে আজ সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারি ভাষ্যমতে, শক্তিশালী এ ঝড়ের আঘাতের বিপরীতে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা এখন পর্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে দরকারি জিনিসপত্র আকাশপথে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমার মনে হয় অন্তত এ যাত্রায় আমরা ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছি।' তিনি আরো বলেন, 'গত দুদিন ধরে আমরা এর জন্যে প্রস্তুতি নিয়েছি যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।' সম্মেলনে মার্কোস বলেছেন, 'কাজ এখানেই শেষ নয়। এমন অবস্থায় যেতে হবে যেন মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়িতে ফিরতে পারে।'

উল্লেখ্য, ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বেগে দেশটির প্রধান দ্বীপ লুজনে গতকাল রবিবার আঘাত হানে সুপার টাইফুন নরো। এ ঘটনায় ফিলিপাইনের আবহাওয়া অধিদফতর লুজন দ্বীপে পাঁচ মাত্রার সতর্কবার্তা জারি করে যা দেশটির সতর্কবার্তার সর্বোচ্চ মাত্রা।

প্রশান্ত মহাসাগরের সাত হাজারেরও বেশি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত ফিলিপাইন খুবই ঘূর্ণিঝড়-প্রবণ অঞ্চল। দেশটিতে বছরে গড়ে প্রায় ২০টির মতো ঘূর্ণিঝড় হয়। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আঘাত হানা টাইফুন রাইয়ের আঘাতে ফিলিপাইনের প্রায় ৪০০ বাসিন্দা নিহত হন। ২০১৩ সালে টাইফুন হাইয়ান আঘাত হানে দেশটিতে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ওই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে নিহত হন প্রায় ৬ হাজার ৩০০ জন।

সূত্র : বিবিসি।