পাকিস্তানে ঘুমন্ত ৭ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১:৫৪, ৯ মে ২০২৪; আপডেট: ২১:৫৭, ৯ মে ২০২৪
![পাকিস্তানে ঘুমন্ত ৭ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা পাকিস্তানে ঘুমন্ত ৭ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা](https://www.talkofthetime.com/media/imgAll/2021August/Pakistan-Pix-1-2405092254.png)
গত কয়েক মাস ধরে বেলুচিস্তানে প্রায়ই এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে।
পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে ৭ জন নিহত হয়েছে। দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রদেশটির বন্দর নগরী গোয়াদারে আজ বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
নিহতরা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা এবং বেলুচিস্তানে তারা চুল কাটার দোকানের কর্মী ছিলো বলে পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন আলি জানান। তবে, এ ঘটনার সঙ্গে তাদের পেশার সম্পর্ক নেই বলে ধারণা করছে পুলিশ।
যদিও এর আগে পাকিস্তানের উত্তরের আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ধরনেরই আরেকটি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছিলো পাকিস্তানভিত্তিক তালেবানরা। এ দলটি থেকে পশ্চিমা অনুকরণে চুল-দাড়ি কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিলো। এতে উদ্বুদ্ধ হয়েই তারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়।
তবে, বর্তমান এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি। তবে, বেলুচিস্তানের সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর বিদ্রোহীরা আগেও এ অঞ্চলে এ ধরনের আরও ঘটনা ঘটিয়েছে।
গত মাসে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি নামের এ ধরনেরই একটি বিদ্রোহী দল বেশ কয়েকজন কর্মীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। মহাসড়কে চলাচল করা একটি বাস থেকে তাদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।
খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান প্রদেশের স্থানীয় বেলুচ জাতির গেরিলা যোদ্ধারা নিজেদের অধিকারের জন্য কয়েক দশক ধরে সরকারবিরোধী বিদ্রোহ করে আসছে।
এদিকে, প্রদেশটির গোয়াদার নগরীতে চীনের অনেক প্রকল্প চলমান রয়েছে। এটি মূলত চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অন্তর্ভুক্ত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের জন্য বিনিয়োগকৃত প্রকল্প।
কিন্তু, আন্দোলনরত বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রথম থেকেই চীনা এসব বিনিয়োগের বিরোধিতা করে আসছে। একইসঙ্গে, প্রাদেশিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মুনাফার সমানভাগ তাদের দেওয়া হয় না বলেও বরাবরই অভিযোগ করে আসছে তারা।
উল্লেখ্য, বেলুচ হচ্ছে পাকিস্তানের ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠী। তারা ইরান-পাকিস্তান সীমান্তের উভয় পাশেই বসবাস করে। একইসঙ্গে, আফগানিস্তানের দক্ষিণাংশেও তাদের বসবাস রয়েছে। তবে, পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশই তাদের সবচেয়ে বড় আবাস্থল।
কিন্তু, পাকিস্তান সরকার এ জাতির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করাসহ তাদের এলাকার সব প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে তারা। এ জাতির মধ্যে থেকে উৎসারিত বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী দল প্রায়ই সীমান্তের উভয় পাশে হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।