রাজনীতি

চার ইসরায়েলির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ যুক্তরাজ্যের

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪;  আপডেট: ২৩:৩৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

চার ইসরায়েলির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ যুক্তরাজ্যের

সহিংসতা বন্ধে ইসরায়েলকে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী চার ইসরায়েলির উপর নিষোধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ইসরায়েলের অবরোধ করে রাখা পশ্চিম তীরে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আজ সোমবার যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রও এ ধরনের একটি উদ্যোগ নিয়েছিলো।

যুদ্ধবিধ্বস্থ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার এ সময়ে দেশটির বিপক্ষে এ ধরনের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জন্য খুবই বিরল একটি ঘটনা। কারণ এ দেশ দুটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে বরাবরই ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে আসছে।

এদিকে সোমবার এ ঘোষণা দেওয়ার পর এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী কিছু চরমপন্থী ইসরায়েলি অতিরিক্ত মাত্রায় সহিংসতার সঙ্গে জড়িত। বেশ কয়েক বছর ধরেই তারা এ ঘটনা ঘটিয়ে আসছে।’

ফলে এসব অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সম্পদ জব্দ করা এবং তাদের ভ্রমণ ও ভিসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়।

এ বিষয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ‘ইসরায়েলেরও এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়াসহ অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সংঘটিত এসব সহিংসতা বন্ধ করা প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায়ই আমরা দেখে থাকি যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু পরে আর তা বাস্তবায়ন করা হয় না।’

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলের চরমপন্থী এসব বসতি স্থাপনকারীরা প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের বন্দুকের মুখে হুমকি দেয় এবং সেই সব জায়গা থেকে তাদের জোর করে উৎখাত করে যার উপর আসলে ফিলিস্তিনিদের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তাদের এ ধরনের কর্মকান্ড একইসঙ্গে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।’

এদিকে যে চার ইসরায়েলির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে নানা রকমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পশ্চিম তীরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের উপর শারীরিক অত্যাচার করা, বন্দুকের ভয় দেখিয়ে হুমকি দেওয়া এবং তাদের বাড়িঘরসহ অন্যান্য সম্পদ নষ্ট করা উল্লেখযোগ্য।

এসবই ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূমি থেকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে বলে এ সময় ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর থেকে অভিযোগ করা হয়।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলি সেনাদের ক্রমাগত অবৈধভাবে ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের বিষয়টিতে বরাবরই সমর্থন দিয়ে আসছিলো যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যার কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশ দুটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা নানা সময় এর প্রতিবাদ করে আসছে।

সূত্র : আল-জাজিরা।