রাজনীতি

মালদ্বীপ-ভারত উত্তেজনা

চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করলো মালদ্বীপ

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:০১, ৫ মার্চ ২০২৪;  আপডেট: ২৩:০৬, ৫ মার্চ ২০২৪

চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করলো মালদ্বীপ

ভারতের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন-মালদ্বীপ সুসম্পর্ক ।

চীনের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা চুক্তিতে সই করেছে মালদ্বীপ। দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে এ প্রতিরক্ষা চুক্তি করে দেশ দুটি। একই দিন ভারতীয় সেনাদের দ্বীপ দেশটি ছেড়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃবিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও চীনের জেষ্ঠ্য সেনা কর্মকর্তা আজ এ চুক্তিতে সই করেন বলে প্রকাশিত ওই বিবৃতি থেকে জানা যায়। মূলত দ্বীপ দেশটিতে চীনা সেনাদের সহযোগিতা বাড়াতে এ চুক্তি স্বাক্ষরে একমত হয় দেশ দুটি।

এদিকে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের দীর্ঘদিন থেকে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিলো। কিন্তু গত বছর মুহাম্মদ মুইজ্জু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট চীনঘেষা বলেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে। আর এ কারণেই পরিস্থিতির এ পরিবর্তন বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।

এ অবস্থায় ভারত আগামী ১০ মে’র মধ্যে মালদ্বীপে থাকা তাদের সেনাবাহিনীর ৮৯টি দল সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করবে বলে জানা যায়। এর আগে মালদ্বীপকে তিনটি উড়োজাহাজ দেয় ভারত। মূলত এর উপকূলীয় সীমান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণে এ উড়োজাহাজগুলো দেওয়া হয়েছিলো। পরবর্তীতে এসব উড়োজাহাজ পরিচালনার কাজে সাহায্য করতে সেনাবাহিনীর এ তিনটি দল মোতায়েন করা হয়।

তবে ভারত খুব শিগগিরই সেনাবাহিনীর বদলে উড়োজাহাজগুলো পরিচালনায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এছাড়া ভারতীয় নৌবাহিনী দেশটির লক্ষ্যদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করবে বলে গত সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছিলো। এ দ্বীপটি মালদ্বীপ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

এদিকে গত মাসেই মালদ্বীপে নোঙ্গর করার অনুমতি পায় চীনের সামুদ্রিক গবেষণা জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং ০৩। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীন সফরকালে দেশটির সঙ্গে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও কৃষি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, ভারত সাগরের পূর্ব থেকে পশ্চিমের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথের প্রায় অর্ধেকটাজুড়ে মালদ্বীপের অবস্থান। এছাড়াও ভৌগলিক কারণে এ অঞ্চলে মালদ্বীপের অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ভারত সাগরে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে দেশটির সঙ্গে জোরালো কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলতো ভারত। তবে বর্তমানে মালদ্বীপসহ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক জোরদার ও ভারত সাগরে ক্রমাগত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়লো দেশটি।

সূত্র: ডয়চে ভেলে।