মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এয়ারলাইনসে খরচ কমায় বেড়েছে যাত্রী
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০০:৫৬, ২৭ মে ২০২৫; আপডেট: ০১:১৩, ২৭ মে ২০২৫

পরিবহন খরচ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এসব এয়ারলাইনসের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ছবি : ইন্টারনেট।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে উড়োজাহাজে যাত্রী ভ্রমণের পরিমাণ বেড়েছে। দেশগুলো গত দশক থেকে কম খরচে যাত্রী পরিবহন (লো-কস্ট ক্যারিয়ারস বা এলসিসি) সুবিধা দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানোয় এ ধরনের এয়ারলাইনসে যাত্রী সংখ্যাও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
এ ধরনের স্বল্পমূল্যের উড়োজাহাজ পরিবহন সুবিধা বা এলসিসি যেখানে ২০১৪ সালে ছিলো ১৩ শতাংশ, সেখানে ২০২৪ সালে তা বেড়ে ২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি গ্লোবাল অ্যাভিয়েশন কনসালট্যান্সি (ওএজি) থেকে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ওএজি বলে, ‘সময়ের সাথে সাথে প্রত্যাশা অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যে কম খরচে উড়োজাহাজের ফ্লাইটের পরিমাণ বেড়েছে। একইসঙ্গে, এ অঞ্চল ছাড়াও আফ্রিকাসহ অন্যান্য অঞ্চলেও এ সুবিধার আওতা বাড়ানো একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।’
এ ক্ষেত্রে, গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোতে (সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, ওমান) বাস করা আফ্রিকা ও এশিয়ার বহু যাত্রী, যারা কম খরচে ভ্রমণ করতে চায়, তাদের মধ্যে এ ধরনের পরিবহন সেবার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
তবে, জিসিসি ছাড়াও মাথাপিছু আয় তুলনামূলক কম প্বার্শবর্তী এ ধরনের অন্যান্য দেশও এ ধরনের পরিবহন সেবার জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
বর্তমানে জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা ৬ কোটি ৩৭ লাখে পৌঁছেছে। এর মধ্যে বিশেষত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত (ইউএই) এবং কাতারে মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশই বিদেশি নাগরিক।
এ অবস্থায় ইউএইসহ এ অঞ্চলের আরও বেশ কয়েকটি দেশ কম বাজেটের এয়ারলাইনস সেবা চালু করেছে। এর মধ্যে এয়ার অ্যারাবিয়া, আবু ধাবি, ওয়েজ এয়ার, ফ্লাইনাস এবং সালামএয়ার উল্লেখযোগ্য।
এর মধ্যে ফ্লাইদুবাই ও এয়ার অ্যারাবিয়া বর্তমানে এশিয়া বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশি এলসিসি ফ্লাইট পরিচালনা করে। এ ক্ষেত্রে মূলত ভারতীয় উপমহাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকদের একটি বড় অংশ এসব ফ্লাইটের যাত্রী।
ফলে, গত দশক থেকে বছর প্রতি এসব কম বাজেটের উড়োজাহাজ পরিবহন সেবার পরিমাণ অন্যান্য তুলনামূলক বেশি দামের ফ্লাইটের তুলনায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বেড়ে চলেছে। একইসময়ে বেশি বাজেটের উড়োজাহাজের ফ্লাইটের পরিমাণ বেড়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
এ ক্ষেত্রে ২০২৪ সালে এলসিসির বাজারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মূলত ৮টি এয়ারলাইনস। এর মধ্যে ফ্লাইদুবাই ও ফ্লাইনাস মোট এলসিসির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অংশ দখল করেছে। অন্যান্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - এয়ার অ্যারাবিয়া, জাজিরা এয়ারওয়েজ, সালাম এয়ার, ওয়েজ এয়ার আবু-ধাবি এবং এয়ার অ্যারাবিয়া আবু ধাবি।
ওএজির মতে, বর্তমানে যাত্রী পরিবহন সক্ষমতার মাপকাঠিতে মধ্যপ্রাচ্য বর্তমানে সারা বিশ্বে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালে নির্দিষ্ট গন্তব্যে মোট ২৭ কোটি যাত্রী পরিবহনের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটি এ সক্ষমতার দিক দিয়ে পূর্ব ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়াকে ছাড়িয়ে যায়।
সূত্র : খালিজ টাইমস।