বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

হুইল চেয়ারে মহাকাশ জয়!

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৩২, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

হুইল চেয়ারে মহাকাশ জয়!

এ মহাকাশ যাত্রাটি পরিচালনা করে মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন।

ছিলেন মাউন্টেন বাইকার ও স্নো বোর্ডার। ২৬ বছর বয়সে মাউন্টেন বাইক দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে আঘাত পান। এতে কোমড় থেকে দুই পা পুরোপুরি অবশ হয়ে পড়ায় হঠাৎই হুইল চেয়ারে আটকে যায় তার দুরন্ত জীবন। তবে, থেমে থাকেননি তিনি; ৩৩ বছর বয়সে হুইল চেয়ারবন্দি অবস্থাতেই তিনি করলেন মহাকাশ জয়।

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা (প্যারাপ্লেজিয়া) নিয়েও মহাকাশে যাত্রার প্রথম এ নজির গড়লেন জার্মান প্রকৌশলী মিকেলা বেন্টহাউস। গত শনিবার তিনি মহাকাশে তার এ সংক্ষিপ্ত যাত্রা সফলভাবে সম্পন্ন করেন। এ সময় মাহাকাশ যানে মিকেলার সঙ্গে আরো ছিলেন জার্মানির একজন মহাকাশ প্রকৌশলী এবং যুক্তরাষ্ট্রের চারজন উদ্যোক্তা।

সাবঅরবিটাল (উপকক্ষীয় অর্থাৎ কক্ষপথের চেয়ে কম উচ্চতায় বা দূরত্বে অবস্থিত কোনো গতিপথ বা অবস্থান) এ মহাকাশ যাত্রাটি পরিচালনা করে মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন।

দ্য নিউ শেফার্ড এনএস-৩৭ মহাকাশ যানটি টেক্সাস থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮:১৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করে। এর স্থায়িত্ব ছিলো প্রায় ১১ মিনিট। ওই সময়ে যানটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) দূরত্ব ঘুরে আসে।

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা (প্যারাপ্লেজিয়া) নিয়েও মহাকাশে যাত্রার প্রথম এ নজির গড়লেন জার্মান প্রকৌশলী মিকেলা বেন্টহাউস।

মহাকাশে সংক্ষিপ্ত এ যাত্রা শেষ করে ফিরে এসে মিকেলা বলেন, 'এটি ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে অনন্য অভিজ্ঞতা।'

তিনি আরো বলেন, 'কখনোই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিৎ নয়। নিজের স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে থাকা দরকার।'

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির প্রকৌশলী মিকেলা বিশ্বকে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে চলা মানুষদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমার দুর্ঘটনার পর বুঝেছি, পৃথিবীটা আসলে এখনো কতোটা অগম্য। যাদের এমন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তাদের জন্য দরকারি সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে পারলেই শুধু সমাজ সত্যিকার অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়ে উঠবে।

উল্লেখ্য, ইলন মাস্কের স্পেসএক্স-এর সঙ্গে পাল্লা দিতে চায় ব্লু অরিজিন। এর আগে ব্লু অরিজিনে মহাকাশ যাত্রায় অংশ নিয়েছেন গায়িকা কেটি পেরি এবং স্টার ট্রেক-এর অভিনেতা উইলিয়াম শ্যাটনারসহ আরো কয়েকজন।

সূত্র : ডয়চে ভেলে।