নাইজেরিয়ায় গির্জার পাদ্রি ও বিয়ের কনেকে অপহরণ
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০০:৫৬, ২ ডিসেম্বর ২০২৫; আপডেট: ০১:০৫, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
গত ১৭ নভেম্বর অস্ত্রধারী অপহরণকারীরা কেব্বি রাজ্যের একটি স্কুল থেকে ২৫ ছাত্রীকে অপহরণ করে।
নাইজেরিয়ার একটি গির্জা থেকে একজন পাদ্রী ও গির্জায় আসা প্রার্থনাকারীদের অপহরণ করেছে একদল অপহরণকারী। রবিবার সকালে ধর্মীয় প্রার্থনা চলাকালে দেশটির কোগি রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বের সুকুটু রাজ্যে শনিবার আরেকটি অপহরণের ঘটনা ঘটে। এতে একটি গ্রাম থেকে বিয়ের কনেসহ তার ১০ সঙ্গীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসব ঘটনায় নাইজেরিয়ায় অপহরণ নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে, এসব অপহরণের সঙ্গে কারা জড়িত, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইজিবা গ্রামের ওই গির্জা থেকে পাদ্রীসহ আরও ১২ জনকে অপহরণ করা হয় বলে কোগি রাজ্যের মুখপাত্র ফেমি ফ্যানও জানান। তবে, ঝুঁকিপূর্ণ জানার পরও পাদ্রীদের যেখানে সেখানে মানুষকে জড়ো করে প্রার্থনার সমালোচনা করেন তিনি। তারা অস্ত্রধারীদের বিপদজনক আচরণকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে মুখপাত্রের বরাত দিয়ে নাইজেরিয়ার এনএএন বার্তা সংস্থা জানায়।
গত দুই সপ্তাহে নাইজেরিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০০ এরও বেশি মানুষকে অপহরণ করা হয়। এদের একটি বড় অংশ শিশু ও কিশোর।
দেশটির নাইজার রাজ্য থেকে গত ২১ নভেম্বর ৩০০’রও বেশি মানুষকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা। রাজ্যের পাপিরি এলাকায় আবাসিক ক্যাথলিক সেন্ট মেরি স্কুল থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। অপহৃতদের মধ্যে ২৬৫ জনই শিশু বলে জানা যায়। তাদের সবাই এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
এছাড়া, গত ১৭ নভেম্বর অস্ত্রধারী অপহরণকারীরা কেব্বি রাজ্যের একটি স্কুল থেকে ২৫ ছাত্রীকে অপহরণ করে।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল এ দেশটিতে ক্রমাগত এ ধরনের অপহরণের ঘটনা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন পর্যবেক্ষকরা। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মূলত বোকো হারাম নামের একটি ইসলামপন্থী দল অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলো এবং সে সময় তারা কয়েক হাজারের মতো মানুষকে অপহরণ করে।
তবে, বর্তমানের অপহরণের ঘটনার অধিকাংশই অর্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। অর্থাৎ, মূলত মুক্তিপণ আদায়ই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।
এক্ষেত্রে, গির্জার পক্ষে বেশি পরিমাণ মুক্তিপণ দেওয়া সম্ভব এবং তারা দিতেও ইচ্ছুক, এ মনোভাব থেকে অপহরণকারীরা বর্তমানে পাদ্রীদের অপহরণ করা শুরু করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলার এ ধরন মূলত ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলা অর্থ-সংক্রান্ত অপরাধ প্রবণতাকে নির্দেশ করে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, এ ধরনের প্রবণতার উদ্দেশ্যই হচ্ছে লাভবান হওয়ার আশায় অপহরণ করা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।



