খনি এলাকায় উত্তেজনা
দেশের উত্তরাংশে স্বর্ণখনির সব কার্যক্রম বন্ধ করলো পেরু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২২:৪০, ৬ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:৪৮, ৬ মে ২০২৫

সাম্প্রতিক কিছু সহিংস ঘটনায় পেরুর স্বর্ণখনি খাতে বর্তমানে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
পেরুর উত্তরাংশে পাতাজ স্বর্ণখনিতে সব ধরনের উত্তোলন কার্যক্রম ৩০ দিন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডিনা বোলুয়ার্তো সোমবার এ সিদ্ধান্ত জানান।
খনি কার্যক্রম বন্ধের এ সময় আরও বাড়তে পারে বলে পেরুর খনি ও জ্বালানিমন্ত্রী হোর্গে মনতোরো জানিয়েছেন। তবে, এটি শুধু অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করা খনি শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেশটির সর্বাধিক স্বর্ণ উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান পোদেরোসা জানায়।
গত রবিবার এ স্বর্ণখনির একটি সুড়ঙ্গ থেকে ১৩ খনি শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরই এ সিদ্ধান্ত জানালো সরকার।
এর আগে নিহত ওই শ্রমিকদের অপহরণ করে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়েছিলো। নিহত ওই ১৩ শ্রমিক চুক্তিভিত্তিতে পোদেরোসা খনিতে কাজ করতো। এটি পেরুর শীর্ষ একটি স্বর্ণখনি।
এদিকে, পাতাজে সরকার রাতব্যাপী কারফিউ জারি এবং সেনা ঘাঁটি বসানোর পরিকল্পনা করছে বলেও জানানো হয়।
প্রেসিডেন্ট ডিনা বোলুয়ার্তো এ বিষয়ে বলেন, ‘পোদেরোসা খনি এলাকাটি খুব শিগগিরই সেনাবাহিনী নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিবে। আমরা সবাই জানি যে, খনি থেকে অবৈধভাবে স্বর্ণ উত্তোলন ও পাচার করে অপরাধীরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে।’
একইসঙ্গে, অবৈধ এ কার্যকলাপকে ‘শহুরে সন্ত্রাসবাদ’ অ্যাখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়তে শিগগিরই সংসদে আইন পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। তবে, খনি এলাকায় জারি করা কারফিউ কিভাবে কার্যকর হবে, সে ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাতাজের খনি এলাকায় আরও ৩৯ জন খনি শ্রমিক নিহত হয়েছে বলে পোদেরোসা জানায়। এদের সবাই অপরাধী চক্রের হাতে নিহত হয়েছে এবং এ চক্রটি অবৈধ খনি উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত বলেও প্রতিষ্ঠানটি থেকে জানানো হয়।
এদিকে, এলাকাটি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার আওতায় থাকার পরও এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।