পাকিস্তানের সঙ্গে কখনো সিন্ধু নদীর চুক্তি পুনর্বহাল করবে না ভারত
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ২২ জুন ২০২৫; আপডেট: ২৩:৫৯, ২২ জুন ২০২৫

আন্তঃসীমান্ত পানি চুক্তির আওতায় সিন্ধু অববাহিকার বেশ কয়েকটি নদীর প্রবাহ ভাগাভাগি করে ভারত ও পাকিস্তান। ছবি : ইন্টারনেট।
ভারত কখনো সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি পুনর্বহাল করবে না। বরং, আভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য পানির গতিপথ পরিবর্তন করা হবে বলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ রবিবার জানান।
আজ ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এ চুক্তি আর কখনোই পুনর্বহাল করা হবে না। পাকিস্তানে প্রবাহিত সিন্ধু নদীর পানি খাল খনন করে আমরা রাজস্থানে নিয়ে যাবো।’
এদিকে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, কোনো পক্ষের এককভাবে এ চুক্তি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে এর আগে মন্তব্য করে দেশটি।
গত মাসে এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছিলেন, ‘দুই পক্ষের সম্মতি ছাড়া এককভাবে কোনো পক্ষের এ চুক্তির কোনো শর্ত পরিবর্তন বা বাতিলের এখতিয়ার নেই।’
এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও সতর্ক করে পাকিস্তান।
মূলত, গত এপ্রিলে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সংঘটিত এক হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এ হামলাকে জঙ্গি হামলা আখ্যায়িত করে এর সঙ্গে পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করে ভারত। এ ঘটনার পর পরই পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদী চুক্তি বাতিল করে দেশটি।
তবে, ভারতের এ অভিযোগ অস্বীকার করাসহ দেশটির কাশ্মীর সীমান্তে হামলা চালায় পাকিস্তান। এর জবাবে ভারত পাল্টা হামলা চালালে দেশ দুটির সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে পুরোদমে যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে দেশ দুটি।
এ অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত গত মাসে দেশ দুটি সাময়িক যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদীর চুক্তি আর পুনর্বহাল না করার সিদ্ধান্ত জানায় ভারত।
উল্লেখ্য, আন্তঃসীমান্ত পানি চুক্তির আওতায় সিন্ধু অববাহিকার বেশ কয়েকটি নদীর প্রবাহ ভাগাভাগি করে ভারত ও পাকিস্তান। এ ক্ষেত্রে, ভারতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পূর্ব হিমালয়ের রবি, সাতলেজ ও বিয়াস নামের তিন নদী। আর, পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পশ্চিমের ঝিলম, চেনাব ও সিন্ধু নদী।
এছাড়া, এ চুক্তির ভিত্তিতে সিন্ধু কমিশন নামে একটি কমিশনও গঠন করা হয়। আন্তঃসীমান্ত নদী সংক্রান্ত উদ্ভূত যেকোনো সমস্যা সমাধানে কাজ করে থাকে এ কমিশন।
সূত্র : আল-জাজিরা।