অন্যান্য

পেরুর স্বর্ণখনি থেকে অপহৃত ১৩ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:০৮, ৫ মে ২০২৫

পেরুর স্বর্ণখনি থেকে অপহৃত ১৩ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

পেরুর ওই খনি এলাকায় পুলিশি পাহারা থাকার পরও পরিস্থিতি দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

পেরুর একটি সোনার খনি থেকে ১৩ জন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির পাতাজ প্রদেশের ওই খনি থেকে আজ রবিবার তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বেশ কিছুদিন আগে ওই ১৩ ব্যক্তি অপহৃত হয়েছিলো। 

পেরুর পাতাজ প্রদেশটি উত্তরের লা লিবার্টাড এলাকার অন্তর্গত। এটি দেশটির রাজধানী লিমা থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

প্রদেশটির ওই স্বর্ণখনি থেকে উদ্ধার করা মরদেহগুলো হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ক্যানাল এনকে পাতাজ প্রদেশের মেয়র আলদো কার্লোস মারিনো জানান। মৃত ব্যক্তিদের অনেকেই খনি শ্রমিক ও বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

এদিকে, খনি উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান পোদেরোসা এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে বলে, ‘জোরদার উদ্ধার তৎপরতার পর আজ সকালে অপহৃত ওই ১৩ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অবৈধ কিছু খনি শ্রমিক অপরাধমূলক প্রবণতা থেকে তাদের অপহরণ করেছিলো।’ 

ওই খনি শ্রমকিরা পেরুর প্রভাবশালী স্বর্ণ উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান পোদেরোসার মাধ্যমে খনির কাজে নিয়োজিত ছিলো। প্রতিষ্ঠানটি প্রায়ই অবৈধভাবে খনি উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত অস্ত্রধারী বেশ কিছু দলের লক্ষ্যে পরিণত হয়। 

এ ধরনের ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অশান্ত পরিবেশের কারণে গত দুই বছরের বেশি ধরে এ খনি এলাকায় রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। 

এ বিষয়ে পোদেরোসা ওই বিবৃতি আরও বলে, ‘দুই বছর ধরে এলাকাটিতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি থাকার পরও এখানকার সহিংসতার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমনকি এলাকাটিতে সব সময় পুলিশি পাহারা থাকার পরও পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হয়ে চলেছে।' 

এ অবস্থায় খনি শ্রমিকদের নিহতের কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পেরুর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

এক্ষেত্রে, তদন্ত চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রয়োজনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারেরও অনুমতি দেওয়া আছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে সতর্ক করা হয়। 

উল্লেখ্য, খনি উত্তোলন পেরুর প্রধান অর্থনৈতিক খাত। একইসঙ্গে, এটি দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ স্বর্ণ উত্তোলনকারী দেশ। 

সূত্র : ডয়চে ভেলে।