ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর
কাতারের সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০০:৪৮, ১৫ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:৩৯, ১৫ মে ২০২৫

প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে বেশ কয়েকটিতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার। ছবি : আল-জাজিরা।
মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার কাতারে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথমবারের মতো এ দেশটিতে সফর উপলক্ষ্যে রাজধানী দোহায় তাকে রাজকীয় সবংর্ধনা দেওয়া হয়। চারদিনব্যাপী এ সফরের অংশ হিসেবে গতকাল বিকালে তিনি দেশটিতে পৌঁছান।
কাতারে পৌঁছার পর পরই তিনি দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে বেশ কয়েকটিতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে কাতার। মূলত, মার্কিন উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে ১৬০টি উড়োজাহাজ কেনার জন্য এ চুক্তি করা হয় বলে উভয় দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এ সময় ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে কাতারের কোনো একটি উড়োজাহাজ ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন বলে জানান। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে বলে, তার পরিকল্পনায় অনেকের মধ্যে নিরাপত্তা, আইনি ও নৈতিকতা বিষয়ক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এদিকে, বৈঠক শেষে দোহায় কাতারের আমিরের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশ নেন ট্রাম্প।
এর আগে, তাঁর এ মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে বুধবার সকালে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। এ সময় এ সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় এ অঞ্চলের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অঙ্গীকার ও অংশীদারিত্ব সম্পর্কে আবারও নিশ্চিয়তা দেন ট্রাম্প।
এ সম্মেলনের পর রিয়াদে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাশার আল আসাদের সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় বসা সাবেক এ জিহাদী নেতাকে এ সময় কঠোর ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
একইসঙ্গে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করারও আহ্বান জানান ট্রাম্প।
এদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন আগেই দেশটির উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
অন্যদিকে, রিয়াদে সম্মেলন শেষে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও প্রতিরক্ষা ও অর্থনীতি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক ক্রমেই জোরালো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন যুবরাজ সালমান।
আজ বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব-আমিরাত সফরের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের এ মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হবে।। এর আগে, তিনি তুরস্কে যেতে পারেন বলে জানান।
দেশটিতে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্ভাব্য বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকে অংশ নিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুতিন তাকে সেখানে দেখতে চান বলে এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উল্লেখ করেন।
সূত্র : সিএনএন, বিবিসি, আল-জাজিরা।