শপথ নিলেন হন্ডুরাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট জায়োমারা
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪:৪০, ২৮ জানুয়ারি ২০২২; আপডেট: ০২:৩০, ২৯ অক্টোবর ২০২২
হন্ডুরাসকে নতুন করে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন জায়োমারা ক্যাস্ট্রো। ছবি : বিবিসি।
হন্ডুরাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন জায়োমারা ক্যাস্ট্রো। শুক্রবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দারিদ্র্য, মাদক চোরাচালান ও দুর্নীতির মতো নানা সঙ্কটের কারণে অনেকদিন ধরেই ভগ্নদশায় রয়েছে মধ্য আমেরিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হন্ডুরাস। দেশটিকে গড়ে তুলতে জায়োমারা নিজের পরিকল্পনার কথা জনসমক্ষে তুলে ধরেছিলেন গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনের আগেই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে জায়োমারার শপথ গ্রহণকে স্বাগত জানালেও বিশ্বনেতাদের অনেকে মনে করছেন, দেশটির বর্তমান অবস্থায় ক্ষমতা গ্রহণ তার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।
বিশ্বনেতাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ও তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী টেগোসিগালপায় জাতীয় স্টেডিয়ামে জায়োমারার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জড়ো হন কয়েক হাজার নাগরিক। এ সময় জনতার সামনে তিনি ভেঙ্গে পড়া দেশটিকে নতুন করে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। ৬২ বছর বয়সী বামপন্থী এই নেতা দেশবাসীর কাছে অঙ্গীকার করেন, দেশটিকে গড়ে তোলার পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবেন তিনি। এ ছাড়া ক্ষমতাধর মাদক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ এবং দেশটিতে বিদ্যমান কঠোর গর্ভপাত আইনে পরিবর্তন আনার ব্যাপারেও জনগণকে কথা দিয়েছেন তিনি। পরে এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, '১২ বছরের লড়াই, ১২ বছরের প্রতিরোধ। আজ থেকে শুরু জনগণের সরকার।'
জায়োমারা ক্যাস্ট্রোর জীবনসঙ্গী ম্যানুয়েল জেলায়া ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ২০০৯ সালে তাকে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করা হয়। এরপর থেকেই জায়োমারা রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং জনমুখী কর্মকাণ্ডের কারণে অল্প সময়েই তার ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে। সর্বশেষ নির্বাচনে তার জয়ের মাধ্যমে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ডানপন্থী ন্যাশনাল পার্টির ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটলো।
তবে সরকার গঠনের পরিকল্পনা ও নেতাদের পদায়নসহ নানা বিষয়ে জায়োমারা ক্যাস্ট্রো তার নিজের দলের ভেতরেই অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, দারিদ্র্য, মাদক ও দুর্নীতির বেড়াজালে আটকেপড়া দেশটিকে পুনর্গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছেন জায়োমারা, নিজের দলের সবার পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে।