অন্যান্য

প্রতিকূল আবহাওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত : নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা

জাপানে ভ‍ূমিকম্প

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ৩ জানুয়ারি ২০২৪;  আপডেট: ১৮:৪৮, ৩ জানুয়ারি ২০২৪

প্রতিকূল আবহাওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত : নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা

প্রচন্ড ঠাণ্ডা এবং সাথে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আজ বুধবার থেকে উদ্ধার কাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

জাপানে গত সোমবার সংঘটিত ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কাজ এখনও চলমান রয়েছে। তবে প্রচন্ড ঠাণ্ডা এবং সাথে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আজ বুধবার থেকে উদ্ধার কাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিকূল এ আবহাওয়ার কারণে বর্তমানে ওই অঞ্চলে ভূমিধসেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে আঞ্চলিক সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

আজ টাস্কফোর্সের সঙ্গে এ সংক্রান্ত জরুরি এক বৈঠক শেষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘প্রথম সংঘটিত ভূমিকম্পের পর ৪০ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। আমরা রীতিমতো সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছি, আর এ যুদ্ধের এখন সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্ত।’

এদিকে ভূমিকম্প বিধ্বস্থ এলাকায় আজ থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় জাপানের জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর থেকে স্থানীয় জনগণকে সম্ভাব্য ভূমিধসের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।

গত সোমবার জাপানের পশ্চিম উপকূলবর্তী হোনসু দ্বীপের আইসিকাওয়া এলাকায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে এ পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এছাড়াও সোমবারের এ ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চলে এ পর্যন্ত আরও ৪০০ বার ভূকম্পন অনুভূত হয় বলে জাপানের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে। একইসঙ্গে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের আঘাতে শত শত বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটের ক্ষতি হওয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার ঘটনাও ঘটে।

এসব ক্ষয়ক্ষতির কারণে দুর্গম এ এলাকাটির সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া আহত ও জীবিতদের উদ্ধার প্রক্রিয়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এর সাথে আবার যোগ হয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়ার সমস্যা। ফলে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়ে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে আঞ্চলিক সরকার। এ অবস্থায় উদ্ধার তৎপরতায় গতি আনতে উদ্ধারকর্মীদের দলে সেনা সদস্যের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের আঘাতে ওই এলাকায় প্রায় ৩০০ মানুষ আহত হয়েছে এবং এদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা জটিল বলে জানা গেছে। এছাড়া কমপক্ষে ২০০টির মতো ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্থ হওয়াসহ আরও প্রায় ৩১ হাজার ৮০০ ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ভূমিকম্পের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি হচ্ছে সুজু। এ এলাকার মেয়র মাসুহিরো জুমিয়া বলেন, ‘প্রায় কোনো বাড়িই এখন আর অক্ষত নেই। বর্তমান অবস্থা পুরোপুরি বিপর্যয়কর।’

উল্লেখ্য, বর্তমানে আইসিকাওয়া এলাকার প্রায় ৩২ হাজার ৮০০ বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে অনেক শহরে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটও।

কিন্তু ভূমিকম্পে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় ওইসব এলাকায় খাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে।