রাজনীতি

সাধারণ নির্বাচন

তাইওয়ানে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:০২, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪;  আপডেট: ২১:২৬, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪

তাইওয়ানে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি

এবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ডিপিপি এর বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে।

তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) এবারও বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। আজ শনিবার দেশটিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো এ জয় পায় দলটি। তাইওয়ানের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে আজ বিকালে তার দলের এ বিজয় ঘোষণা করেন। এ সময় দেশটির অপর দুই বিরোধী দল নির্বাচনে তাদের পরাজয় মেনে নেয় বলে জানা যায়।

এর মধ্য দিয়ে তাইওয়ানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে চীনের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেই ভোট দিলো দ্বীপ রাষ্ট্রটির বাসিন্দারা।

এদিকে এবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ডিপিপি এর বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। আর তার স্থলাভিষিক্ত হবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের প্রধান প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা সিওয়াও বি-খিম।

তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির হিসেব মতে, এবার লাই পেয়েছেন প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে তার প্রধান দুই প্রতিদ্বন্ধী পেয়েছেন যথাক্রমে ৩৩ এবং ২৬ শতাংশ ভোট।

নিজেদের বিজয় ঘোষণার পর দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্য দেওয়া ভাষণে লাই তার এ জয়কে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বিশ্বকে এটা বলতে চাই যে, গণতন্ত্র ও কর্তৃত্ববাদের মধ্যে থেকে আমরা এখনও গণতন্ত্রের পক্ষে।’

লাই আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সাংবিধানিক ধারা অনুযায়ীই দায়িত্ব পালন করবো। একইসঙ্গে আমরা তাইওয়ানকে চীনের অব্যাহত চাপ ও হুমকী থেকে রক্ষায়ও প্রতীক্ষাবদ্ধ।’

উল্লেখ্য, চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি কখনো সরাসরি তাইওয়ান শাসন না করলেও এ দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে তাদের মূল ভূখণ্ডের একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। ফলে একসময় এটি মূল চীনা ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত হবে বলে অঙ্গীকারবদ্ধ চীন।

কিন্তু তাইওয়ানের ভাগ্য চীনের মাধ্যমে নয় বরং এর বাসিন্দাদের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বলে সব সময় জোর দিয়ে বলে আসছে ডিপিপি।

তবে আজকের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে তাইওয়ানের জনগণকে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে’ এবং ‘লাই চিং- তে বর্তমান সময়ের জন্য হুমকী এবং তার নির্বাচিত হওয়া মানে দুই ভূ-খন্ডের মধ্যে দ্বন্ধ-সংঘাত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা’ বলে এ বিষয়ে দ্বীপ রাষ্ট্রটির জনগণকে সতর্ক করে আসছিলো চীন।

তবে চীনের হুমকী ও সতর্কবার্তার পরও তাইওয়ানের জনগণের বিপুল ভোটে জয় পান লাই। পরবর্তীতে নিজের বিজয়ী ভাষণে চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সুস্থ ও সিস্থিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে লাই বলেন, ‘চীন এক সময় নতুন এ পরিস্থিতি মেনে নেবে এবং এ অবস্থায় একমাত্র শান্তিপূর্ণ সম্পর্কই দুই পক্ষের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে অনুধাবন করবে বলে আমরা আশা করি।’

সূত্র : সিএনএন।