রাজনীতি

সুদান যুদ্ধে কমপক্ষে ৮ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:২৯, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪;  আপডেট: ০১:৩৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সুদান যুদ্ধে কমপক্ষে ৮ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ

এরইমধ্যে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি সুদানি শরণার্থী ইথিওপিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে।

সুদানে গত নয় মাস ধরে গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। আর এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৮ মিলিয়ন মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল বুধবার জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ অবস্থায় বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের সংকট মোকাবেলায় আরও বেশি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা দ্য ইউএন হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর) এর মহাসচিব ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় তিনি আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া সফরে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন। বর্তমানে সুদানের বাস্তুচ্যুত মানুষ এ দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সেখানে প্রয়োজনীয় তহবিলের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত সুদান থেকে ১ লাখেরও বেশি মানুষ ইথিওপিয়ায় গেছে। এর মধ্যে ৪৭ হাজার জন ছিলো শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী। তবে এরইমধ্যে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি সুদানি শরণার্থী ইথিওপিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে।

এ অবস্থায় ইথিওপিয়ার সরকার ও ইউএনএইচসিআরের ত্রাণ সহায়তার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়েছে বলে জানান গ্র্যান্ডি। কিন্তু সেখানকার অবস্থা বিবেচনায় জরুরি ভিত্তিতে তাদের আরও বাড়তি ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কারণ গত বছর ইথিওপিয়ায় আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৪৩১ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু ইউএনএইচসিআরের পক্ষে এর মাত্র ৩৬ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকের কম জোগান দেওয়া সম্ভব হয়। আর চলতি ২০২৪ সালের জন্য দেশটির ৪২৬ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বলে সংস্থাটি পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে।

তবে ইথিওপিয়া ছাড়াও বর্তমানে আরও পাঁচটি প্রতিবেশী দেশে বহু সুদানি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। সুদানের রাজধানী চাদ থেকে গত এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ পালিয়েছে। আর বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৫০০ মানুষ দক্ষিণ সুদান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিলে সুদানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির সরকারের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। তবে গত ২০ বছর ধরেই এ দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যার ফলে প্রায়ই দেশটিতে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে বর্তমান এ সংঘাতের কারণে গত বছর শেষে দেশটিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ হাজারে। যদিও এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলেই আশঙ্কা করা হয়ে থাকে।

সূত্র : আল-জাজিরা।