স্বদেশ

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা

নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ২৫ ও প্রতিমন্ত্রী ১১ জন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:৫১, ১১ জানুয়ারি ২০২৪;  আপডেট: ০১:০৪, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চমবারের মতো শপথ নিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চমবারের মতো শপথ নিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ শপথ বাক্য পাঠ করান।  একইসঙ্গে শপথ নেন নতুন সরকারের নির্বাচিত ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে এবার ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা নিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করলো আওয়ামী লীগ।

শপথ গ্রহণের পর শপথ ও গোপনীয়তার শপথে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । একইসঙ্গে গোপনীয়তা শপথে স্বাক্ষর করেন সরকারের নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরাও।

এদিকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর পরই নতুন সরকারের ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগ দিয়েছেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর আগে গত বুধবার রাতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব  ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন।

এবার নতুন সরকারের পূর্ণ মন্ত্রীদের মধ্যে আ ক ম মোজাম্মেল হককে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়; ওবায়দুল কাদেরকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে অর্থ মন্ত্রণালয়; আনিসুল হককে আইন মন্ত্রণালয়; নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে শিল্প মন্ত্রণালয়; আসাদুজ্জামান খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; মো. তাজুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; মুহাম্মদ ফারুক খানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়; মোহাম্মদ হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; দীপু মনিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; সাধন চন্দ্র মজুমদারকে খাদ্য মন্ত্রণালয়; আবদুস সালামকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; মো. ফরিদুল হক খানকে ধর্ম মন্ত্রণালয়; র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ভূমি মন্ত্রণালয়; জাহাঙ্গীর কবির নানককে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; মো. আবদুর রহমানকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; মো. আবদুস শহীদকে কৃষি মন্ত্রণালয়; ইয়াফেস ওসমানকে (টেকনোক্র্যাট) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; সামন্ত লাল সেনকে (টেকনোক্র্যাট) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; মো. জিল্লুল হাকিমকে রেলপথ মন্ত্রণালয়; ফরহাদ হোসেনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; নাজমুল হাসানকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; সাবের হোসেন চৌধুরীকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 এবারের মন্ত্রীসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে ২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ১১ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে নসরুল হামিদকে বিদ্যুৎ বিভাগ; খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়; জুনাইদ আহ্‌মেদকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; জাহিদ ফারুককে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; সিমিন হোসেন রিমিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়; কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়; মহিববুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; রুমানা আলীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আহসানুল ইসলামকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক নিয়ে ২২২টি আসনে জয়লাভ করে। এছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দল-ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসন পেয়েছে। নির্বাচনে একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।

সূত্র : বাসস, প্রথম আলো।