রাজনীতি

পাবলিক প্লেসে আফগান নারীদের মুখ ঢাকা `বাধ্যতামূলক`

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ৮ মে ২০২২;  আপডেট: ০১:৪৩, ২৯ অক্টোবর ২০২২

পাবলিক প্লেসে আফগান নারীদের মুখ ঢাকা `বাধ্যতামূলক`

জনসমক্ষে নারীদের মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক করেছে তালেবান শাসকরা।

জনসাধারণের সামনে (পাবলিক প্লেস) গেলে আফগান নারীদের মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক করেছে তালেবান শাসকরা। গতকাল শনিবার এমন নির্দেশনা দিয়ে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের জেনারেল ডিরেক্টরেট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাফেয়ার্স থেকে জারি করা এ আদেশে বলা হয়েছে, যে নারী এই আদেশ মানবে না, তার ‌'পুরুষ অভিভাবককে' শাস্তির আওতায় আনা হবে। সরকারি পদে কর্মরত নারীরা এ আদেশ অমান্য করলে তাদের চাকুরিচ্যুত করা হবে।

এর আগে গত ডিসেম্বরে নারীদের চলাফেরা সীমিত করে একটি আদেশ জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিলো, নারীরা কোনও পুরুষ অভিভাবক ছাড়া ৪৫ মাইলের বেশি দূরত্বে যাতায়াত করতে পারবে না। গাড়িচালকদেরও তখন কোনও নারী 'পর্দা' না করলে তাকে গাড়িতে উঠতে না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগের মাসেই অর্থাৎ নভেম্বরে দেশটিতে নারী উপস্থিত - এমন সব ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে নতুন নির্দেশনা দেয় তালেবান কর্তৃপক্ষ। নারী সংবাদ পাঠকদের জন্য মাথায় স্কার্ফ পড়াও বাধ্যতামূলক করা হয়।

নারীদের ব্যাপারে আগে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তালেবান শাসকরা নারীর অধিকারকে খর্ব করে একের পর এক বিধি-নিষেধ জারি করে আসছে। নারীশিক্ষার অধিকার মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অংশ হিসেবে মেয়েদের বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের এমন ভূমিকা শুরু থেকেই সমালোচিত হচ্ছে। তালেবান কর্তৃপক্ষ অবশ্য বরাবরই বলে আসছে, এসব বিধি-নিষেধ মূলত নারীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই দেওয়া হচ্ছে।

আফগানিস্তানের সাবেক রাজনীতিবিদ ও নারী অধিকার আন্দোলনের কর্মী জারিফা গাফারি গত মাসে বার্তা সংস্থা সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'তালেবানরা আমাদের মুছে দিতে পারবে না। এটা ১৯৯০-এর দশক বা তার আগের যুগ নয় - তাদেরকে নারীদের স্বীকৃতি দিতে হবে। এ ছাড়া তাদের বিকল্প নেই।'

সূত্র : সিএনএন।