রাজনীতি

তাইওয়ানকে রক্ষার প্রত্যয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০৫, ২৪ মে ২০২২;  আপডেট: ০২:৩৮, ২৯ অক্টোবর ২০২২

তাইওয়ানকে রক্ষার প্রত্যয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের

তাইওয়ানকে রক্ষায় প্রয়োজনে সেনা অভিযান পরিচালনারও ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। ছবি : রয়টার্স।

তাইওয়ান বিষয়ে চীনকে সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে, চীনা হামলা ঠেকাতে এ দ্বীপটি রক্ষায় প্রয়োজনে সেনা অভিযান পরিচালনার কথাও জানালেন তিনি। গতকাল সোমবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

জো বাইডেন বর্তমানে জাপানে আয়োজিত কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটাই তার প্রথম এশিয়া সফর।

এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের সঙ্গে বাইডেন চীন-তাইওয়ান ইস্যুর তুলনা করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। যদিও তাইওয়ান বিষয়ে মার্কিন নীতির কোনও বদল হয়নি বলে জো বাইডেন বারবারই বলে আসছেন, কিন্তু চীন হামলা করলে তাইওয়ানকে রক্ষায় সেনা পাঠানো হবে- কিছুদিনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরনের মন্তব্য করলেন। তাঁর এ মন্তব্য মার্কিন নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেই মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীন বরাবরই তাইওয়ানকে তাদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে একে মূল ভূমির সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘তাইওয়ান চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, এ বিষয়ে সমঝোতার কোনও সুযোগ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাইওয়ান ও ইউক্রেনের ইস্যু একেবারেই ভিন্ন। এখানে একটির সঙ্গে আরেকটির তুলনা করা খুবই অযৌক্তিক। আমরা আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এক চীন নীতির বিষয়টি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের কূটনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এ দ্বীপ দেশটির কাছে ‘তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট’-এর আওতায় অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ তাইওয়ানকে বাইরের আক্রমণ থেকে রক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে দেশটি। আবার একই সময়ে চীনের সঙ্গেও আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর ফলে কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তারা ‘এক চীন নীতি’ মানতে বাধ্য।

সূত্র : বিবিসি।