রাজনীতি

দক্ষিণ আফ্রিকায় পানশালায় গুলি করে ১৫ জনকে হত্যা

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ১০ জুলাই ২০২২;  আপডেট: ০১:২০, ২৯ অক্টোবর ২০২২

দক্ষিণ আফ্রিকায় পানশালায় গুলি করে ১৫ জনকে হত্যা

পরপর কয়েকটি বন্দুক হামলার ঘটনায় দেশটি উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়েটো শহরের একটি পানশালায় (বার) বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত আরো কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আজ রবিবার স্থানীয় সময় ভোররাতের আগে কয়েকজন বন্দুকধারী 'অরল্যান্ডো ইস্ট ট্যাভার্ন' নামের ওই পানশালায় ঢুকে একদল তরুণকে লক্ষ করে এলোপাথারি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। এতে ওই ১৫ জনের মৃত্যু হয়। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

পুলিশ সূত্র জানায়, গুলিবর্ষণের পর বন্দুকধারীরা একটি সাদা মিনিবাসে চড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে ওই হামলার উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'লাশগুলো একটি আরেকটির ওপর পড়ে ছিলো আর চারদিকে রক্তমাখা। আমরা আমাদের স্বজনদের খুঁজছিলাম, ভাইদের খুঁজতে আমাদেরকে ওইসব লাশের ওপর দিয়ে লাফিয়ে যেতে হয়েছে।'

স্থানীয় পুলিশ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইলিয়াস মাবেলা বলেন, 'ঘটনা দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এই পানশালার খদ্দেরদের ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে।' পুলিশ কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বন্দুকধারীরা রাইফেল ও ৯এমএম পিস্তল নিয়ে পানশালায় ঢুকেছিলো। সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় সম্প্রদায়ের এক নেতা থাবান মলয়ি পুলিশ আসতে দেরি করেছে উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'শনিবার রাত ১১:০০টায় এই হামলার ঘটনা ঘটে কিন্তু পুলিশ এখানে এসেছে রবিবার ভোর ৪:০০টায়।'

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভিন্ন এক ঘটনায় দক্ষিণ-পূর্ব দিকের একটি এলাকায় আরেক পানশালায় গুলিতে আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা দুটি ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের স্বজনদের প্রতি শোক জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'জাতি হিসেবে আমরা এ ধরনের সহিংস অপরাধীদের কোথাও এমন ঘটনা ঘটানোর সুযোগ দিতে পারি না।'

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় এ ধরনের বন্দুক হামলা মাঝে-মধ্যেই ঘটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব হামলার পেছনে অপরাধী চক্র বা অ্যালকোহল পানের বিষয়টি সম্পর্কিত থাকে। কিছুদিন আগেই দেশটির ইস্ট লন্ডন শহরের একটি পানশালায় ২১ জনকে বিষাক্ত গ্যাস বা বিষ প্রয়োগে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ওই ঘটনার এখনো সুরাহা করতে পারেনি। এর মধ্যেই এ দুটি ঘটনার কারণে এমন হামলার বিষয়ে দেশটি উদ্বেগের মধ্যে পড়েছে।

সূত্র : বিবিসি।