ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউকের
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২:২২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫; আপডেট: ২২:২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কানাডায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে সমর্থন জানাতে রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ মানুষ।
কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজ রবিবার এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করে দেশগুলো। ইসরায়েলের ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণ এবং গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত রাখার মধ্যেই এ উদ্যোগ নিলো দেশ তিনটি।
এক বিবৃতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল, দুটি আলাদা রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত নির্মাণে সহযোগিতা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময়, ইসরায়েল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কার্নি। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের ক্ষমতায়ন করা সম্ভব হবে, যারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রত্যাশা করে এবং এর মধ্য দিয়ে হামাসের কার্যক্রমও বন্ধ করা সম্ভব। কারণ, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ কখনোই সন্ত্রাসবাদকে বৈধতা দেওয়া বা একে আরও সুযোগ দেওয়া নয়।’
এ ক্ষেত্রে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কানাডার কাছে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের সরকার ব্যবস্থার সংস্কার, আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন আয়োজন, যেখানে হামাস কোনোভাবেই অংশ নিতে পারবে না, এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সেনা শাসনের আওতামুক্ত করার অঙ্গীকার করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী কার্নি উল্লেখ করেন।
একইসময়, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী আলবানিস এ বিষয়ে বলেন যে, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের আন্তর্জাতিক যে উদ্যোগ, তার অংশ হিসেবেই আমরা কানাডা ও যুক্তরাজ্যের পথ অনুসরণ করে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওংয়ের সঙ্গে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী আলবানিস আরও বলেন যে, এ সিদ্ধান্ত মূলত দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথকে প্রশস্ত করবে এবং এর শুরুটা হবে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার মধ্য দিয়ে।
তবে, এ ক্ষেত্রে নতুন ফিলিস্তিনে হামাস বলতে কোনো কিছুর অস্তিত্ব থাকা যাবে না বলে এ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্বন্বয় করে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় যুক্তরাজ্যও। এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের আশা পুনর্জাগ্রত হবে বলে উল্লেখ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
তবে, এভাবে একের পর এক দেশের ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে হামাসকে আরও সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল ও এর ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু, দেশ দুটির এ অবস্থান সত্ত্বেও জাতিসংঘের পরবর্তী সাধারণ অধিবেশনে ফ্রান্সসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র : আল-জাজিরা।