সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩:২৯, ১৫ অক্টোবর ২০২৫; আপডেট: ২৩:৩২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধবিরতির আগে কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। ছবি : বিবিসি।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালেবান সরকার সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। নতুন করে উভয় দেশের সীমান্তে সংঘাতের পর তারা এতে সম্মত হয় বলে আজ বুধবার দেশ দুটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
উভয় পক্ষই ৪৮ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে বলে দুটি দেশের তরফ থেকেই দাবি করা হয়েছে। এ যুদ্ধবিরতি আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে বলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, নির্ধারিত এ সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের তরফ থেকে কোনো ধরনের উসকানিমূলক আচরণ করা না হলে তারাও যুদ্ধবিরতির এ চুক্তি মেনে চলবে বলে আফগান সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে পাকিস্তানের বিমান হামলায় আফগানিস্তানের ১২ নাগরিক নিহত হয়। দেশটির কাবুল ও কান্দাহারে পাকিস্তানের চালানো এ হামলায় আরও ১০০ জন আহত হয় বলে তালেবানের এক মুখপাত্র জানায়। কিন্তু, এ বিষয়ে নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে, এ হামলা শুরুর বিষয়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয় দেশই একে অপরকে দোষারোপ করছে। কিন্তু, কোনো দেশেই এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
এ অবস্থায় কান্দাহার প্রদেশের সীমন্তবর্তী স্পিন বলডাকে হামলা চালিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন আফগান তালেবানকে হত্যা করেছে বলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করে। অন্যদিকে, তারা বহু পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে তালেবানরা।
পরবর্তীতে, কাবুল ও কান্দাহারে পাকিস্তানের বিমান হামলা উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়। এ হামলায় একটি তেলের ট্যাংকার ও একটি জেনারেট বিস্ফোরিত হয় বলে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানায়।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে সংঘটিত এক বিস্ফোরণের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ বিস্ফোরণে ইসলামাবাদের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করে কাবুল।
অন্যদিকে, আফগান তালেবান সরকারের মদদে পাকিস্তানভিত্তিক তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) দেশটিতে ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে বলে পাকিস্তানের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। তবে, তাদের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার।
সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা, ডয়চে ভেলে।