অন্যান্য

সিউলে হ্যালোইনের উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত কমপক্ষে ১৫৪

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৫৫, ৩১ অক্টোবর ২০২২;  আপডেট: ১১:১৭, ৩১ অক্টোবর ২০২২

সিউলে হ্যালোইনের উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত কমপক্ষে ১৫৪

অনুষ্ঠান চলাকালে সেখানে প্রায় এক লাখ লোক সমাগম ঘটে বলে জানা যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে গত শনিবার আয়োজিত হ্যালোইনের উৎসবে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ ঘটনায় দেশটিতে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।  

রাজধানী সিউলের কাছাকাছি ইতাইওয়ান নামক এলাকায় সংঘটিত এ দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে অধিকাংশেরই বয়স ২০ বা তারও কম বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে ২৬ জন বিদেশী নাগরিক রয়েছেন বলে জানা যায়।  

যদিও এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি, তবে মূলত সরু রাস্তায় প্রচুর মানুষের ভীড়ে শ্বাস আটকে এবং পদদলিত হয়ে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারণ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, সরু গলিতে প্রচুর মানুষের ভীড়ে তাদের নড়াচড়া করার কোনো সুযোগ ছিলো না; এমনকি অনেকের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো বলেও প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়।

এ সময় জরুরি সেবাদান কর্মীদের মানুষের মরদেহের স্তুপ থেকে অনেককে টেনে বের করতে দেখা গেছে। তখন সেখানে অনেকের কান্নার শব্দও শোনা যায়।   

এদিকে অনুষ্ঠান চলাকালে সেখানে প্রায় এক লাখ লোক সমাগম ঘটে বলে জানা যায়। যদিও এতো সরু রাস্তায় এতো লোক সমাগম হবে বলে প্রথমে ধারণা করা যায় নি বলে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লি সাঙ্গ-মিন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ইতাইওয়ানে অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। ফলে সে অনুযায়ী সেখানে নিরাপত্তাকর্মীও নিয়োগ করা প্রয়োজন ছিলো। শনিবার সিউলের অন্যান্য এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হলেও ইতাইওয়ানের বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।’  

এদিকে দুর্ঘটনার পর পরই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক-ইওয়েল জরুরি সভা করেন এবং আহতদের যথাযথ সেবা নিশ্চিত করাসহ দুর্ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তিনি নিহতদের স্মরণে দেশটিতে কয়েকদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন।  

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য আরও অনেক দেশের নেতারা এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, রাত্রিকালীন জমকালো উৎসব ও নানা ধরনের রেস্টুরেন্টের জন্য বিখ্যাত ইতাইওয়ানে করোনার পর এবারই প্রথম মাস্ক ছাড়া হ্যালোইনের উৎসব আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। স্থানীয় নাগরিক ছাড়াও প্রতি সপ্তাহেই সেখানে অনেক পর্যটকেরও সমাগম ঘটে। তবে হ্যালোইনে এখানে বছরের অন্যান্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি লোক সমাগম হয়।  

সূত্র : সিএনএন, বিবিসি, বাসস।