অন্যান্য

তানজানিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্থ হয়ে নিহত কমপক্ষে ১৯

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:০২, ৬ নভেম্বর ২০২২

তানজানিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্থ হয়ে নিহত কমপক্ষে ১৯

এ বিমান দুর্ঘটনার জন্য খারাপ আবহাওয়াকেই দায়ী করা হচ্ছে।

তানজানিয়ায় একটি  যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্থ হয়ে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার দেশটির বাকুবা শহরে অবতরণের সময় বিমানটি পাশের লেক ভিক্টোরিয়াতে আছড়ে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রেসিসন এয়ার নামের বাণিজ্যিক বিমান সংস্থার এ বিমানটি তানজানিয়ার দার উস সালাম থেকে ওয়ানযা হয়ে বাকুবার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলো।   

এরইমধ্যে বিমানটি থেকে নিহতদের সব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে তানজানিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিয়া জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন বিমানটি থেকে যাত্রীদের মালামাল এবং ব্যক্তিগত সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে চিকিৎসক ও নিরাপত্তা সংস্থার একটি দল নিহতদের মরদেহ চিহ্নিত করাসহ তাদের পরিবারকে জানানোর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন।’

এদিকে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি উদ্ধার প্রক্রিয়া চলাকালে নিহতদের পরিবারকে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানান।  

এর আগে বিমানে থাকা ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়। তানজানিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী দার উস সালাম থেকে ৩৯ জন যাত্রী ও চারজন ক্র নিয়ে বিমানটি যাত্রা শুরু করেছিলো। দুর্ঘটনার পরও বিমানের দুই পাইলট জীবিত ছিলেন এবং ককপিট থেকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে পরবর্তীতে তারা মারা যান বলে প্রধানমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।   

এ বিমান দুর্ঘটনার জন্য খারাপ আবহাওয়াকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর থেকেই উদ্ধারকর্মীরা দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর পর এটিআর-৪২ মডেলের বিমানটি পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে গেলেও, পরে উদ্ধারকর্মীরা দড়ি দিয়ে টেনে এটি তীরে নিয়ে আসতে সক্ষম হন।

উল্লেখ্য, বাকুবা এয়ারপোর্টের রানওয়ের একটি অংশ লেক ভিক্টোরিয়ার একদম কাছে অবস্থিত। এটি আফ্রিকার সবচেয়ে বড় লেক।

এদিকে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রেসিসন নামের এ বিমান সংস্থাটি একইসঙ্গে কেনিয়া এয়ারওয়েজেরও মালিকানাভুক্ত। সংস্থাটি একইসঙ্গে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।

সূত্র : সিএনএন, বিবিসি।