অন্যান্য

মরক্কোর ভ‍ূমিকম্প : নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২৫০০

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:১১, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩;  আপডেট: ২১:১৮, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মরক্কোর ভ‍ূমিকম্প : নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২৫০০

ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।

মরক্কোতে আঘাত হানা ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪৯৭ জনে পৌঁছেছে। রিখটাল স্কেলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত আহত হয়েছে কমপক্ষে ২ হাজার ৪৭৬ জন। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় সোয়া এগারোটার দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। 

গত ৬০ বছরের মধ্যে মরক্কোতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিলো দেশটির আল-হাউজ প্রদেশ। এটি হাই-অ্যাটলাস নামের একটি পাহাড়ি অঞ্চল। একইসঙ্গে মরক্কোর চতুর্থ বৃহত্তম শহর ও পর্যটন কেন্দ্র মারাকেশ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে-পশ্চিমে অবস্থিত।

সাধারণত এ অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা নয়। তবে এবারের এ ভূমিকম্পে এর কেন্দ্রস্থলসহ আশেপাশের প্রায় বেশিরভাগ শহর ও গ্রামই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

ভূমিকম্পের পর পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আরও প্রায় দুই ডজনের মতো আফটার শক অনুভূত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটির মাত্রা ছিলো রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৯। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু ভূমিকম্পের কারণে রাস্তাঘাটে পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণে এবং প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় সেখানে উদ্ধার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ভারী সরঞ্জামাদি নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে।

এ অবস্থায় দুর্ঘটনার তিনদিন পর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমেই কমে আসছে। তারপরও খালি হাতেই সেখানে উদ্ধার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।

এদিকে প্রত্যন্ত এ এলাকাগুলোতে বর্তমানে সাহায্য পৌঁছানোও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাাঁড়িয়েছে। ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রের অভাবে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে। একইসঙ্গে জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্যও অপেক্ষায় রয়েছে তারা।

এ অবস্থায় ব্রিটেন, স্পেন, কাতার এবং সংযুক্ত আরব-আমিরাত থেকে আপাতত ত্রাণ সহায়তা নেওয়া হবে বলে মরক্কোর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গত রবিবার মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ নিহতদের স্মরণে তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে সারা দেশের মসজিদগুলোতে গায়েবী জানাজারও নির্দেশ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৬০ সালে মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিলো। রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে সে সময় ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষ নিহত ও প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়।

সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি, ডয়চে ভেলে, সিএনএন।