ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন ফাং-ওংয়ের আঘাত : ২ জন নিহত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ৯ নভেম্বর ২০২৫; আপডেট: ০০:০৩, ১০ নভেম্বর ২০২৫
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিপাতে ফিলিপাইনের বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ফিলিপাইনের পূর্বের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন ফাং-ওং। এতে এ পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিপাত ও শক্তিশালী বাতাসের প্রভাবে বাইকল অঞ্চলের একটি বড় অংশ বর্তমানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রায় পুরো ফিলিপাইনের সমান ব্যাপ্তি নিয়ে আজ রবিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে অরোরা প্রদেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। এ সময় এর কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। এটি ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বেগে বাড়ছিলো বলে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর জানায়। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়টি ফিলিপাইনের সবচেয়ে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা লাজোনেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
তবে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত থেকে বাঁচতে আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ১০ লাখের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া, অন্যান্য উপকূলীয় এলাকা ও নিম্নাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ।
একইসঙ্গে, ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড় থেকে দেশের জনগণকে রক্ষায় রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট ফার্দিন্দাদ মার্কোস জুনিয়র।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কতা হিসেবে লাজোনের বিভিন্ন এলাকায় সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা জারি করা হয়। রাজধানী ম্যানিলা ও এর আশেপাশের প্রদেশগুলো ছিলো তিন মাত্রার সতর্কবার্তার আওতাধীন। এছাড়া, আগাম সতর্কতা হিসেবে বাইকল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ম্যানিলার সাঙ্গলে বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তবে, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে এক ব্যক্তি পানিতে ডুবে এবং আরেক নারী বিধ্বস্ত বাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা যায় বলে উদ্ধারকর্মীরা জানায়।
ফিলিপাইনে নতুন এ ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার কিছুদিন আগেই কালমাইগি নামে আরেকটি টাইফুন দেশটিতে আঘাত হানে। শক্তিশালী সেই টাইফুনের আঘাতে ফিলিপাইনে এ পর্যন্ত ২০৪ জন নিহত হয়েছে। পুরো দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে ক্ষতচিহ্ন রেখে যাওয়া এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভিয়েতনামে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৫ জন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ফিলিপাইনে আঘাত হানা ফাং-ওং নামের সুপার টাইফুনটি চলতি বছরের এ পর্যন্ত দেশটিতে আঘাত হানা ২১তম ঘূর্ণিঝড়। এটি আগামীকাল সোমবার টাইফুনে পরিণত হয়ে দক্ষিণপশ্চিমে এবং আগামী মঙ্গলবার উত্তরের দিকে সরে যাবে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।
আগামী বুধবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি তাইওয়ানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে এবং বৃহস্পতিবার দেশটির পশ্চিমাংশে আঘাত হানার আগে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে। পরবর্তীতে আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি দ্রুত সাধারণ মৌসুমি বায়ুতে পরিণত হবে।
সূত্র : আল-জাজিরা।



