রাজনীতি

জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের সাক্ষাৎ

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৪২, ১৪ নভেম্বর ২০২২;  আপডেট: ২৩:৪৭, ১৪ নভেম্বর ২০২২

জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের সাক্ষাৎ

আজ বাইডেন ও শি জিনপিং বালিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিন ঘণ্টা আলাপ করেন।

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আজ সোমবার সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ক্ষমতা গ্রহণের পর চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এটিই মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম সরাসরি সাক্ষাতের ঘটনা। গ্রুপ অব ২০ (জি২০) সম্মেলনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে এই দুই নেতা বর্তমানে বালিতে অবস্থান করছেন ।
 
তাইওয়ান, হংকংসহ চীনের উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনেক দিন থেকেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর আগে বিভিন্ন সময় তাইওয়ানের স্বাধীনতা রক্ষায় পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও বরাবরই মতোই তাইওয়ান ও হংকংকে মূল ভূখন্ডের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে চীন। এছাড়াও সাম্প্রতিক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়া বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়েও পশ্চিমের বিরাগভাজন হয়েছে দেশটি।

এ অবস্থায় এ দুই দেশের প্রধানের সাক্ষাতের বিষয়টি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ বিভিন্ন বিষয়ে বিদ্যমান মতপার্থক্য কমিয়ে এনে বিশ্বের সর্বাধিক শক্তিশালী এ দেশ দুটি বরং এখন বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত উত্তেজনাকর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দিকেই মনোযোগ দিবে বলে আশা করা হচ্ছে।
 
এ লক্ষ্যে আজ বাইডেন ও শি জিনপিং বালিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিন ঘণ্টা আলাপ করেন। বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বের শীর্ষ দুই দেশের এ দুই নেতা এ বিষয়ে ইতিবাচক বার্তাও দিয়েছেন।

এ সময় চীনের সঙ্গে নতুন করে আর কোনো স্নায়ুযুদ্ধ হবে না বলে আশ্বস্থ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে চীন তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না বলে নিজের বিশ্বাসের কথাও জানান তিনি।  

বাইডেন বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে দুই দেশের প্রধান হিসেবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অবশ্যই মতপার্থক্য কমিয়ে আনাসহ সংঘাত সৃষ্টি হয় এমন যেকোনো ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধ করা এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ইস্যু, যেখানে উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন, সে লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করা সম্ভব।’

এদিকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সঠিক পথে পরিচালিত হবে বলে শি জিনপিংও এ সময় আশা প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে তিনি দুই দেশের মধ্যে উদার ও অর্থপূর্ণ মতামত বিনিময়ে বাইডেনের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান।
 
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে নিজেদের জয় নিশ্চিত করেছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক দল। অন্যদিকে শি জিনপিং গত অক্টোবরে সব প্রথা ভেঙ্গে তৃতীয়বারের মতো আগামী পাঁচ বছরের জন্য চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় কংগ্রেসের প্রধান নির্বাচিত হন।

সূত্র : আল-জাজিরা