রাজনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান ইউএনভুক্ত সংস্থার প্রধানদের

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ৬ নভেম্বর ২০২৩;  আপডেট: ২২:৪৬, ৭ নভেম্বর ২০২৩

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান ইউএনভুক্ত সংস্থার প্রধানদের

জাতিসংঘভুক্ত ১৮টি সংস্থার প্রধানরা গাজায় যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘভুক্ত বেশ কয়েকটি সংস্থা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে । গতকাল রবিবার জাতিসংঘের অর্ন্তভুক্ত ১৮টি সংস্থার প্রধানরা যৌথভাবে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

এ সময় তারা ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান এ যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চলার বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ও ভীতিকর’ বলে উল্লেখ করেন।

জাতিসংঘের অর্ন্তভুক্ত ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন, দ্য ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম এবং দ্য ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) এর প্রধানরা যৌথভাবে এ বিবৃতি প্রকাশ করেন।

এতে বলা হয়, ‘মানবিক কারণে আমরা যত দ্রুত সম্ভব গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছি। এক মাস ধরে এ যুদ্ধ চলছে। এটি আর হতে দেওয়া যায় না। এখনই তা বন্ধ করা উচিত।’

তারা আরও বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে বিশ্ববাসী ইসরায়েল ও দখলকৃত ফিলিস্তিনে প্রচন্ড অস্থির পরিস্থিতি দেখে আসছে। এতো এতো মৃত্যু দেখে মানুষ স্তম্ভিত ও ভীত।’

এ সময় ইউএন প্রধানরা উভয় দলকেই ‘আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানুষের অধিকার সংক্রান্ত আইন’ (International Humanitarian and Human Rights Law) মেনে চলার আহ্বান জানান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এ আইনের প্রতি দায়িত্বশীলতা থেকে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। একইসঙ্গে হাসপাতাল ও বিদ্যালয়ের মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর সুরক্ষারও আহ্বান জানান তারা।

এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজার জনগণের কাছে প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছানোর অনুমতি না দেওয়া এবং তাদের বাড়িঘর, আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল এবং প্রার্থনার জায়গায় বোমা নিক্ষেপ করার মতো কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

এ সময় ইউএন প্রধানরা ত্রাণ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত ডজনের মতো কর্মীর হত্যার বিষয়টিতেও নিন্দা জানান।

তারা বলেন, ‘এ পর্যন্ত একশরও বেশি সাহায্যকারীর উপর হামলার ঘটনা জানা গিয়েছে। এসব হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৮৮ জন নিহত হয়েছে, যা একটি মাত্র যুদ্ধে জাতিসংঘের এতো কর্মীর এভাবে মৃত্যুর ঘটনা এটাই সর্বোচ্চ।’

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ হাজার ৭৭০ জন নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশই সাধারণ জনগণ।

অন্যদিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাংশে হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ এরও বেশি বলে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক বলে জানা যায়।

সূত্র: আল-জাজিরা।