রাজনীতি

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে পাকিস্তানে বিক্ষোভ

নিহত ৪

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:২৭, ১৪ মে ২০২৪;  আপডেট: ২২:৩৮, ১৪ মে ২০২৪

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে পাকিস্তানে বিক্ষোভ

নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার এ অঞ্চলে ‘কালো দিবস’ ঘোষণা করা হয়।

পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গতকাল সোমবার ৪ জন নিহত ও আরও প্রায় ১০০ জনের মতো আহত হয়েছে। দেশটিতে আটা ও বিদ্যুতের মতো নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকেই রাজধানী মোজাফরবাদে হাজার হাজার মানুষ আন্দোলন শুরু করে।

সপ্তাহজুড়ে চলমান এ আন্দোলন তীব্র হওয়ায় এক সময় মোবাইল সেবা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে, বিদ্যালয়, গণপরিবহন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে সোমবার এ অঞ্চলে আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ও আন্দোলনকারীদের দমনে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে আধা-সামরিক বাহিনী।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। নিহত ৪ জনের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২ জনের গুলির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে বলে পাকিস্তানের সমন্বিত সামরিক হাসপাতালের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে।       

তবে, আজ মঙ্গলবার প্রতিবাদের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। মূলত, সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ২৪ বিলিয়ন রুপি (৮৬ মিলিয়ন ডলার) ভর্তুকির ঘোষণা দেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেয় আন্দোলনকারীরা।

বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে সোমবার এ অঞ্চলে আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিক্ষোভকারী শওকত নেওয়াজ মীর এ বিষয়ে বলেন, ‘সরকার আমাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে।’ একইসঙ্গে সরকারের তরফ থেকে নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে, নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার এ অঞ্চলে ‘কালো দিবস’ ঘোষণা করা হয়। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া স্থানীয় অধিকার কর্মীদের সংগঠন দ্য জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি এ কর্মসূচী ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীর মূলত একটি আধা-স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল। নিজস্ব আঞ্চলিক সরকার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সূত্র : বিবিসি।