ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ছবি প্রকাশ করলো উত্তর কোরিয়া
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪:২৩, ৩১ জানুয়ারি ২০২২; আপডেট: ০১:৫১, ২৯ অক্টোবর ২০২২
এ নিয়ে এক মাসে মোট সাতবার এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া। ছবি : বিবিসি।
উত্তর কোরিয়া গতকাল রবিবার ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি প্রকাশ করেছে। আজ সোমবার ছবিগুলো প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ। প্রকাশিত দুটি ছবির মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের মুহুর্তের। অন্য ছবিটি মধ্য-আকাশে অবস্থানরত ক্ষেপণাস্ত্রের। এটি মাঝারি পাল্লার হাসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র বলে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালের পর এ আকারের পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনা এটিই প্রথম।
জাপান সাগরে পড়ার আগে ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩০ মিনিটে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠে। ৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি সাগরে পড়ে বলে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সরকারি সূত্র জানিয়েছে।
কেসিএনএ জানায়, মূলত সক্ষমতা পরীক্ষা করতেই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দেশটির পূর্ব সাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সর্বোচ্চ গতিবেগে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয় বলেও তাদের প্রতিবেদনে জানানো হয়। তবে এ সময় দেশটির নেতা কিম জং উন উপস্থিত ছিলেন না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
উনের অনুপস্থিতি ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের খবর প্রকাশের ধরন দেখে এটা তথাকথিত নতুন প্রযুক্তির শক্তি প্রদর্শন নয় বরং অস্ত্রটির সক্ষমতার পরীক্ষাই ছিলো বলে উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত বিশ্লেষক অঙ্কিত পান্ডে মন্তব্য করেন।
রবিবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাসহ চলতি বছরের এ সময় পর্যন্ত অর্থাৎ এক মাসেই মোট সাতবার এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু নিজেদের সেনাবাহিনী ও প্রকৌশলীদের দক্ষতার পরীক্ষাই নয় বরং আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক রাজনীতির ক্ষেত্রে নিজেদের শক্তির প্রদর্শনসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চাপের মধ্যে রাখাও কিছুদিন পর পর এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রধান কারণ।
উত্তর কোরিয়ার যে-কোনো ধরনের ব্যালিস্টিক ও পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু পূর্ব এশিয়ার এ দেশ বরাবরই এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
এ ছাড়া জাতিসংঘসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বার বার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।