অর্থ ও বাণিজ্য

আবারও সুদের হার বাড়ালো ইসিবি এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড

অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:০২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩;  আপডেট: ০০:০৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আবারও সুদের হার বাড়ালো ইসিবি এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড

সুদের হারের পরিমাণের দিক থেকে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভকে ছাড়িয়ে গেলো ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।

ইউরোপের সবচেয়ে বড় দু’টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাপকহারে তাদের সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ বর্তমানে ইতিহাসের প্রায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার এ পদক্ষেপ নিলো ব্যাংক দু’টি। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হারকেও ছাড়িয়ে গেলো ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি) এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।
নতুন এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ব্যাংক দুটি তাদের সুদের হার বর্তমানের তুলনায় আরও আধা শতাংশ বাড়িয়েছে। তবে ২০০৮ সাল থেকেই তাদের বেঞ্চমার্ক সুদের হার (মূল/ভিত্তি সুদের হার) এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
তবে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ) তাদের সুদের হার বর্তমানের তুলনায় মাত্র এক চতুর্থাংশ বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে নেওয়া দেশটির বিভিন্ন পদক্ষেপ সফল হওয়ার কারণেই এ সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।
এদিকে ইউসিবি তাদের বেঞ্চমার্ক সুদের হার ভবিষ্যতে আরও বাড়াবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ইউরোপে মুদ্রা হিসেবে ইউরো ব্যবহার করে, এমন ২০টি দেশের মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে কিছুটা কমেছে; তারপরও এর বর্তমান হার আট দশমিক পাঁচ শতাংশ। এটি ব্যাংকটির নির্ধারিত দুই শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি বলেই বেঞ্চমার্ক সুদের হার বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত বলে জানা যায়।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার কমে ১০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমেছে, তারপরও এটি গত ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
প্রকৃতপক্ষে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বর্তমানে কিছুটা কঠিন সময় পার করছে। কারণ একদিকে যেখানে পণ্যের দাম দ্রুতগতিতে বাড়ছে, সেখানে একইসময়ে মন্দার ঝুঁকিতে রয়েছে যুক্তরাজ্য। তাছাড়া মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদের হার বাড়িয়ে চলার যে প্রবণতা, তা আবার ক্ষতিগ্রস্ত করছে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে। একইসঙ্গে পাইকারিতে বিদ্যুতের দামের যে পরিমাণ, সেটাও দেশটির মূল্যস্ফীতি ধারণার তুলনায় আরও বাড়াবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।  
এ অবস্থায় বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে এ বছর একমাত্র যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিই সঙ্কুচিত হতে পারে বলে গত মঙ্গলবার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
সূত্র : সিএনএন।