করোনার প্রথম সংক্রমণ : কঠোর লকডাউনে উত্তর কোরিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২১:১৪, ১২ মে ২০২২; আপডেট: ০১:৪২, ২৯ অক্টোবর ২০২২

দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা গত কয়েকমাস ধরে বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে আসছেন।
দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। প্রথমবারের মতো দেশটিতে করোনার সংক্রমণ ঘটায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ জানায়। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে চারদিন আগে ওমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করলেও সংক্রমণের সংখ্যার ব্যাপারে কিছু জানায়নি সংবাদ মাধ্যমটি।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন এ পরিস্থিতিকে ‘জাতীয় পর্যায়ের জরুরি অবস্থা’ উল্লেখ করে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বলে জানায় কেসিএনএ। তিনি ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া রোধে দেশজুড়ে ‘সর্বোচ্চ জরুরি অবস্থা’ মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়েও লকডাউন কার্যকর করাসহ অফিস-আদালতে ভীড় ঠেকাতে কঠোর নির্দেশও জারি করেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন।
উত্তর কোরিয়া সরকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা কার্যক্রমের বিষয়টি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছিলো। এর বদলে দেশটি আন্তর্জাতিক সীমানা বন্ধ রাখার মধ্যেই করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর পদক্ষেপ সীমিত রেখেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকেই চলছে এ ব্যবস্থা। কিন্তু এর ফলে দেশটির বাইরে থেকে আসা দরকারি জিনিসপত্রের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে দেশটিতে দেখা দিয়েছে খাবারের সঙ্কট, অর্থনীতির অবস্থাও হয়ে পড়েছে নাজুক। এ ছাড়া দেশটিতে আরও আগে থেকেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে বলে ধারণা করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্যখাত এমনিতেই বেশ দুর্বল। গতবছর আন্তর্জাতিক মহল থেকে দেশটিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং চীনের তৈরি সিনোভ্যাক টিকা সরবরাহের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেয় দেশটি। সরকারের এমন অবস্থানের কারণে দেশটির আড়াই কোটি বাসিন্দা বিরাট স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর প্রকাশের পর উত্তর কোরিয়াকে মানবিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সূত্র : বিবিসি।