অন্যান্য

তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভ‍ূমিকম্প : নিহত ২৫০৯

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:৫৫, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩;  আপডেট: ১৬:২১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভ‍ূমিকম্প : নিহত ২৫০৯

তুরস্ক-সিরিয়ার সীমানার কাছে কয়েকটি শহরে একশোর বেশি ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় সংঘটিত শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে দেশদুটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৫০৯ জন নিহত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১৩৬ জন বলে জানা গেছে। আজ সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা এ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিলো তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশ।

এ এলাকায় গত প্রায় একশো বছরের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের গভীরতা ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার ছিলো বলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সূত্র জানায়।

ভূমিকম্পটির আঘাতে তুরস্কে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫৪১ জন নিহত এবং আরো প্রায় ৯ হাজার ৭৩৩ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। সিরিয়ায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৯৬৮ এবং আহত ২ হাজার ৪০৩ জন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ সংস্থা সানা সূত্র জানায়।

মূল ভূমিকম্পের এক ঘণ্টা পর পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে শক্তিশালী আরো প্রায় ডজনখানেক অভিঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী আঘাতটির মাত্রা ছিলো রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৫। তবে স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় সংঘটিত এ কম্পন অভিঘাত নয় বরং আরো একটি ভূমিকম্প ছিলো বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে  ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো এড়িয়ে চলতে সর্বসাধারণকে সতর্ক করা হয়েছে।

এক টুইটার বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, 'তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকারী দলকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করি, যতো দ্রুত সম্ভব ন্যূনতম ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে আমরা এ দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।'

এ অবস্থায় তুরস্ক থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানানোর পর বিশ্বনেতারা দেশটিতে সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ করছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, তুরস্ক, সিরিয়া, লেবানন, সাইপ্রাস এবং ইসরায়েলের কয়েক লাখ মানুষ এ ভূকম্পন অনুভব করেছে। তুরস্ক-সিরিয়ার সীমানা সংলগ্ন বেশ কয়েকটি শহরের একশোর বেশি ভবন বিধ্বস্ত হয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে।

সূত্র : সিএনএন, আল-জাজিরা ও বিবিসি।