তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৯০০০ ছাড়িয়েছে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৫:৫০, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ১৬:২৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

উদ্ধারকাজ চলছে। তবে ধ্বংসস্তূপে এখনো আটকে থাকাদের মধ্যে অনেকে তীব্র ঠাণ্ডার কারণে মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছবি : সিএনএন।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যম। তীব্র ঠাণ্ডার কারণে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা জানানো হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, সময় যতো গড়াচ্ছে, ধ্বংসস্তূপে এখনো আটকে থাকা ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারের আশাও ততোই কমছে।
সোমবার ভূমিকম্পের পর থেকে বিশাল এলাকা জুড়ে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তবে তুরস্কের কয়েকজন ব্যক্তি ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদ্ধারকাজে ধীরগতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ জানিয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকায় আজ বুধবার উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
সিরিয়ার উত্তরাংশে আন্তর্জাতিক উদ্যোগে কিছু ত্রাণ পৌঁছতে শুরু করেছে। তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের দখলে থাকা এলাকাগুলোতে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ত্রাণ যাচ্ছে একেবারেই কম।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ দুর্যোগকালে সাড়া দিতে শুরু করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অভিজ্ঞ কর্মী তাদের রয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইউক্রেনও সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে।
দেশটির জরুরি সেবাদানকারী একটি দল এখনো আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার এবং উদ্ধার পরবর্তী জরুরি সেবা দিতে তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। দলটিতে প্রায় ৯০ জন উদ্ধারকর্মী এবং আটকেপড়াদের খুঁজে বের করে উদ্ধারকাজে সহায়তায় সক্ষম ১০টি কুকুর রয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার প্রথমে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এবং এর পর ৭ দশমিক ৫ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প দেশদুটিতে আঘাত হানে। রিখটার স্কেল অনুযায়ী বেশ বড় আকারের ওই দুটি আঘাতের পর ছোট আকারের আরো অনেকগুলো ভূমিকম্প আঘাত হানলে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং রাস্তা-ঘাটসহ অনেক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায়।
সূত্র : বিবিসি ও সিএনএন।