অন্যান্য

অস্ট্রেলিয়ায় আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইলসা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:২৭, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

অস্ট্রেলিয়ায় আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইলসা

ঘূর্ণিঝড় ইলসা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে বা শুক্রবার ভোরের দিকে আঘাত হানতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাংশে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইলসা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির পশ্চিম উপকূলে ঝড়টি এরই মধ্যে শক্তিশালী হতে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত এক দশকের মধ্যে দেশটিতে এটিই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে।

দেশটির আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন, এ ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের বেগ অন্য অনেক ঝড়ের চেয়ে বেশি তীব্র হবে।

অস্ট্রেলিয়ার ব্যুরো অব মেটিওরোলজি (বিওএম) সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইলসা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে বা শুক্রবার ভোরের দিকে আঘাত হানতে পারে। ঝড়টি প্রথমে ব্রুম ও পোর্ট হেডল্যান্ড শহরদুটির মধ্যবর্তী এলাকায় আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শহরদুটির মধ্যে পোর্ট হেডল্যান্ড আকরিক লোহা রপ্তানির একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর।

ব্রুম ও পোর্ট হেডল্যান্ড শহরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। আকরিক লোহার খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের বেশিরভাগই বাস করেন পোর্ট হেডল্যান্ডে।

বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে এ ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটারে (১৫৫ মাইল) পৌঁছে যাবে যা যুক্তরাষ্ট্রের হ্যারিকেন ক্যাটাগরি ৪ বা ৫-এর সমতুল্য।

বিওএম-এর জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মিরিয়াম ব্র্যাডবারি বলেছেন, 'এমন শক্তিশালী বাতাস কেবল গাছ উপড়ে ফেলা বা বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করারই ক্ষমতা রাখে না, এটি আপনার বাড়ি ও বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ক্যারাভান বা ট্র্যাম্পোলিনের মতো জিনিসপত্রও উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।'

শক্তিশালী বাতাসে উড়ে যেতে পারে - এমন জিনিসপত্র বেধে রাখতে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ব্রুম ও পোর্ট হেডল্যান্ডসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে পর্যটকদের সরে যেতে বলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই সুপারমার্কেটগুলোতে ছুটছেন খাবারসহ দরকারি জিনিসপত্র মজুদ করতে।

অস্ট্রেলিয়ার ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস-এর পশ্চিমাঞ্চলের কমিশনার ড্যারেন ক্লেম বলেছেন, 'অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে দশ বছর পর এমন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে।' তিনি বলেন, 'এখানে এমন অনেককেই পাওয়া যাবে যারা ক্যাটাগরি ৪ হ্যারিকেন এর আগে আর কখনও দেখেনি।'

অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে ঘূর্ণিঝড় নিয়মিত ঘটনা। বিওএম-এর তথ্য অনুযায়ী গত বছর সেখানে সাতটি ঝড়ের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পরিবেশের অবস্থা খুব খারাপ এবং ক্রমেই এর আরও অবনতি হচ্ছে বলে তাদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সূত্র : সিএনএন।