রাজনীতি

লেবানন থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ করে রকেট হামলার অভিযোগ

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:২৪, ৭ এপ্রিল ২০২৩;  আপডেট: ১৯:৩৪, ৭ এপ্রিল ২০২৩

লেবানন থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ করে রকেট হামলার অভিযোগ

ইসরায়েলের দক্ষিণে বেযেত এলাকায় লেবানন থেকে রকেট ছোঁড়া হচ্ছে। ছবি : রয়টার্স।

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ করে রকেট ছোঁড়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে দেশটি। জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের ভেতরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশের পর পর দুই রাত হামলা চালানোর পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার এ দাবি করলো ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রাথমিক এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার উল্লেখ করে, 'লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভ‍‍ূখণ্ডে একটি রকেট ছোঁড়া হয়েছে এবং আমরা তা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি।' পরে লেবানন থেকে মোট ৩৪টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে দাবি করে ইসরায়েল। এর মধ্যে ২৫টিই তারা ধ্বংস করেছে এবং অন্তত ৪টি রকেট ইসরায়েলে আঘাত করেছে বলে দেশটি জানায়।

এদিকে ইসরায়েল এ হামলার জবাবে সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা থেকে জানানো হয়। তবে এতে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যায়। অবশ্য ইসরায়েল পাল্টা আক্রমণ করেনি বলে দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করেছে। তবে লেবানন থেকে ছোঁড়া রকেটের আঘাতে ইসরায়েলের তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানায় দেশটি।

এদিকে লেবাননের বিদ্রোহী দল হিজবুল্লাহ নয় বরং দেশটিতে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি বিদ্রোহীদের উপদল এসব রকেট ছুঁড়েছে বলে একটি গণমাধ্যমকে জানায় সরকারি সূত্র। লেবাননের দক্ষিণাংশে একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবির ও অস্ত্রধারী বিদ্রোহীদের অবস্থান। তবে তাদের কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

এ অবস্থায় গাজা উপত্যকার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকেও গতকাল টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারী বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দক্ষিণাংশ লক্ষ করে রকেট ছুঁড়েছে বলে দেশটির সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে। তবে ভোরে সংঘটিত এ হামলায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার ভোরে দ্বিতীয় দিনের মতো জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে অভিযান চালানোর পরই লেবানন সীমান্ত থেকে রকেট হামলার প্রথম ঘটনাটি ঘটে। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওই অভিযানের সময় ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যেতে বাধা দেয়।

এর আগে গত বুধবার এই একই মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১২ ফিলিস্তিনি আহত হয় এবং আরও প্রায় ৪০০ জনকে আটক করা হয়।

এ অবস্থায় আল-আকসা মসজিদের বর্তমান সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন বা একে ইহুদিদের তীর্থস্থানে পরিণত করার যে-কোনো অপচেষ্টা এ অঞ্চলে যুদ্ধ ডেকে নিয়ে আসবে বলে ফিলিস্তিনি বিদ্রাহী দল হামাস ও ইসলামিক জিহাদের উপশাখা থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।

সূত্র : আল-জাজিরা।