রাজনীতি

সু চির কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়লো আরো ৩ বছর

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৪০, ১২ অক্টোবর ২০২২;  আপডেট: ০১:০৭, ২৯ অক্টোবর ২০২২

সু চির কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়লো আরো ৩ বছর

সু চির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনছে জান্তা সরকার। ছবি : এপি।

মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেতা অং সান সু চির কারাদণ্ডের মেয়াদ আরো তিন বছর বাড়িয়েছে দেশটির সেনা পরিচালিত আদালত। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এ নেতার কারাভোগের সময় বেড়ে এখন মোট ২৬ বছরে দাঁড়ালো। আজ বুধবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার পরিচালিত আদালত এ রায় ঘোষণা করে।

স্থানীয় এক ধনকুবেরের কাছ থেকে পাঁচ লাখ ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এ সাজা দেওয়া হয়েছে সু চিকে। অবশ্য সু চি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনা একের পর এক অভিযোগের সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তার আইনজীবীরা। বর্তমানে  সু চি রাজধানী নিপিডোতে গৃহবন্দী রয়েছেন।

গত মাসে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে সু চিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ বিচার প্রক্রিয়াটি মূলত ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি সেনাবাহিনী গঠিত দলের বিপরীতে ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হয়।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর এটিই সু চির বিরুদ্ধে প্রথম সশ্রম কারাদণ্ডাদেশের ঘটনা। এর আগে ২০০৯ সালে আরেকটি বিচারের ঘটনায় তাকে প্রথমবারের মতো এ ধরনের শাস্তি দেওয়া হলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়।

এর আগেও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তবে সেনা সমর্থিত এ সরকার ক্ষমতা দখলের পর গণতন্ত্রপন্থী এ নেতার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ ও শাস্তি নিয়ে বরাবরই শঙ্কা জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থান ও সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের আগে পাঁচ বছর মিয়ানমারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অং সান সু চি। কয়েক দশকের সেনা শাসনের পর তিনিই প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশটির দায়িত্ব নেন। কিন্তু ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

সূত্র : সিএনএন।