রাজনীতি

পাকিস্তানের মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা : নিহত কমপক্ষে ৪৭

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:২৬, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩;  আপডেট: ২৩:৩৫, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

পাকিস্তানের মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা : নিহত কমপক্ষে ৪৭

হামলায় মসজিদ ভবনটির একাংশে ভেঙ্গে পড়েছে এবং অনেকে এর নিচে চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছবি : ইন্টারনেট।


পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরের মসজিদে সংঘটিত এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত ও ১৫৭ জন আহত হয়েছেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে আজ সোমবার এ হামলা চালানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) এক টুইটার বার্তায় এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এ হামলার নিন্দা জানানোসহ আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে হামলায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এদিকে হামলায় মসজিদ ভবনটির একাংশ ভেঙ্গে পড়েছে এবং অনেকে এর নিচে চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভবনটিতে একসঙ্গে ৩০০ ব্যক্তির স্থান সংকুলান হয় এবং বোমা হামলার সময় ভবনটি প্রায় পূর্ণ ছিলো বলে পেশোয়ারের পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইজাজ খান স্থানীয় এক গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে জানান।

এদিকে নামাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক পুলিশ সদস্য শহিদ আলী (৪৭) বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান। তিনি বলেন, ‘আমি দেখলাম কালো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে যাচ্ছে। আমি তখন আমার জীবন বাঁচাতে পালালাম। লোকজনের চিৎকার এখনও আমার কানে বাজছে। তারা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন।’

আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এ প্রদেশটিতে প্রায়ই এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি : ইন্টারনেট।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারের যে মসজিদটিতে হামলা চালানো হয়েছে, সেটি আদতে একটি অস্ত্রসজ্জিত কম্পাউন্ডের ভেতর। এখানে প্রাদেশিক পুলিশ বাহিনী এবং দেশটির সন্ত্রাসবাদবিরোধী বিভাগের সদর দফতর অবস্থিত। এছাড়াও পেশোয়ারের পুলিশ লাইনের মধ্যে অবস্থিত এ এলাকাটি শহরটির রেড জোন হিসেবেও পরিচিত। কারণ এখানে প্রাদেশকি প্রধানমন্ত্রী, গভর্ণরের বাসভবনসহ খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের প্রাদেশিক সম্মেলন কক্ষ অবস্থিত।

আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এ প্রদেশটিতে প্রায়ই এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে। গত বছরের মার্চে এখানকার আরেকটি মসজিদে চালানো এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় সে সময় ৬৪ জন নিহত হন। ২০১৮ সালের পর এটি ছিলো এ অঞ্চলের সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। তখন খোরাসান প্রদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএসকেপি/আইএসআইএস-কে) এ হামলার দায় স্বীকার করে।  

সূত্র : আল-জাজিরা।