রাজনীতি

দক্ষ শ্রমিক আকৃষ্ট করতে অভিবাসন আইন বদলের উদ্যোগ জার্মানির

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৩২, ৩১ মার্চ ২০২৩;  আপডেট: ০৩:২০, ৩১ মার্চ ২০২৩

দক্ষ শ্রমিক আকৃষ্ট করতে অভিবাসন আইন বদলের উদ্যোগ জার্মানির

নতুন এ আইন পাস হলে দেশটিতে প্রতি বছর কেবল ইউরোপিয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলো থেকেই প্রায় ৬০ হাজার দক্ষ শ্রমিকের অভিবাসন হবে।

দক্ষ শ্রমিক আকৃষ্ট করতে অভিবাসন আইন বদল করছে জার্মানি। দক্ষ শ্রমিকের অভাব তীব্র আকার ধারণ করার পরিপ্রেক্ষিতে আইনে এ বদল আনার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।

জার্মানির স্বরাষ্ট্র এবং শ্রম মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ ব্যাপারে নতুন নীতিমালা প্রস্তাব করেছে বলে বুধবার জানানো হয়েছে। মন্ত্রিসভা পর্যায়ে এ প্রস্তাব পাস হওয়ার পর এখন খসড়াটি সংসদের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

নতুন এ আইন পাস হলে দেশটিতে প্রতি বছর কেবল ইউরোপিয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলো থেকেই প্রায় ৬০ হাজার দক্ষ শ্রমিকের অভিবাসন হবে। এই সংখ্যা ২০১৯ সাল অর্থাৎ করোনা মহামারীর আগের সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

বর্তমানে প্রস্তাবিত নীতিমালার খসড়ায় দক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো : কাজের দক্ষতা, জার্মান ভাষায় দক্ষতা, কাজের পূর্ব-অভিজ্ঞতা, জার্মানির সঙ্গে পূর্ব-সংযোগ (যেমন : আগে থেকেই দেশটিতে কোনো আত্মীয় বসবাস করছেন) এবং বয়স।

তবে গত বছরের ডিসেম্বরে জার্মান শ্রমমন্ত্রী হুবার্তস হায়েল নতুন এ নীতিমালার কথা উল্লেখ করে জানিয়েছিলেন, এই পাঁচটি শর্তের মধ্যে অন্তত তিনটি শর্ত পূরণ করলেই আবেদন করা যাবে এবং সেই আবেদন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।

জার্মানির বর্তমান শ্রম অভিবাসন আইন অনেক কঠিন হওয়ায় দেশটিতে দক্ষ শ্রমিকের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ২০২২ সালের শেষ দিকেই দেশটিতে ১ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন শ্রমিকের শূন্যপদ তৈরি হয়। এত বেশি সংখ্যক শ্রমিকের সঙ্কট অন্য যে-কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এ ঘাটতি মোকাবিলায় নতুন প্রস্তাবিত নীতিমালায় অনেক পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হচ্ছে।

জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সরকার আশা করছে, পূর্ণাঙ্গ অভিবাসন প্যাকেজের অংশ হিসেবে এ আইনের মধ্য দিয়ে দেশটির বিদ্যমান অভিবাসন, আবাসন ও নাগরিকত্ব আইনের আধুনিকায়ন হবে।

বিদ্যমান অভিবাসন নীতিটি ২০২০ সালের মার্চ মাসে অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের নেতৃত্বাধীন বৃহৎ জোট সরকারের আমলে প্রণীত হয়েছিলো।

সূত্র : ডয়চে ভেলে।