রাজনীতি

যুদ্ধ বিরতির আলোচনা থেকে সরে এলো সুদানের সেনাবাহিনী

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ৩১ মে ২০২৩;  আপডেট: ২৩:৪১, ৩১ মে ২০২৩

যুদ্ধ বিরতির আলোচনা থেকে সরে এলো সুদানের সেনাবাহিনী

দক্ষিণ সুদানের একটি যুদ্ধবিধ্বস্থ এলাকা।

সুদানের আধা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ বিরতির আলোচনা থেকে সরে এলো দেশটির সেনাবাহিনী। আজ বুধবার সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব এ আলোচনায় মধ্যস্থতা করছিলো।

এমন এক সময় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হলো যখন এর মাত্র দুই দিন আগেই তারা বিরোধী পক্ষের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বিরতির সময় বাড়িয়ে আরও পাঁচদিন করে।

মূলত সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) এর ক্রমাগত যুদ্ধ বিরতির শর্ত ভঙ্গের প্রতিবাদ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার নাবিল আব্দেল্লা জানান।

মানবিক কারণে যুদ্ধ বিরতি দেওয়া হলেও এর মধ্যেই আরএসএফ রাজধানী খার্তুমের হাসপাতালসহ অন্যান্য অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। তবে তারা  চুক্তির সব শর্তই মেনে চলেছে বলে আরএসএফ থেকে দাবি করা হয়েছে।  

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতির যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো, তার সব শর্ত যথাযথভাবে পূরণ নিশ্চিত হলেই সেনাবাহিনী পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবে বলে আব্দেল্লা জানান। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।

এছাড়া এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বা সৌদি আরবেরও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চলতি মাসের ৩১ তারিখ উভয় পক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতির এ চুক্তিটি করে। মূলত দীর্ঘদিন ধরে চলমান যুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় যেসব সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে, তা পুনরায় চালু করাসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

একইসঙ্গে এ চুক্তির অংশ হিসেবে মানুষের বাসাবাড়ির জিনিসপত্রসহ ও তাদের জন্য আসা সাহায্যের মালামাল লুটপাত বন্ধ করা এবং হাসপাতাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো স্থাপনা দখল না করারও বিষয়েও দুই পক্ষ সম্মত হয়।

কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে চলমান এ সংঘাতের মধ্যে এ পর্যন্ত সাতবার সম্পাদিত যুদ্ধ বিরতির প্রতিটিতেই কোনো না কোনোভাবে এসব শর্ত ভঙ্গ হয়েছে। তবে বরারবই দুই পক্ষ চুক্তির শর্ত ভঙ্গের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে।

এদিকে মঙ্গলবারও খার্তুমসহ এর পাশের শহর ওমদারমেনে সংঘাতের খবর দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সুদানের সেনাবাহিনী ও সরকার সমর্থিত আরএসএফের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এ সংঘাতের ফলে দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৬৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়।

একইসঙ্গে এ সংঘাতের কারণের খার্তুমসহ এর আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায় ১৪ লাখ বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য হয় দেশের ভেতরেই অন্য জায়গায় চলে যেতে বা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।

এছাড়া বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ অন্যান্য দেশের অধিবাসীরাও এ সংঘাতের কারণে সুদান থেকে নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ।