যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে গুলির ঘটনায় হত্যা মামলা
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ৬ জুলাই ২০২২; আপডেট: ০১:২১, ২৯ অক্টোবর ২০২২
![যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে গুলির ঘটনায় হত্যা মামলা যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে গুলির ঘটনায় হত্যা মামলা](https://www.talkofthetime.com/media/imgAll/2021August/TOTT-Illinois-Shooting-2207070047.jpg)
পুলিশ জানায়, গুলি চালানোর পর নারীর ছদ্মবেশে পালিয়ে যায় হামলাকারী।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে গুলিবর্ষণে হতাহতের ঘটনায় রবার্ট ক্রিমোর (২১) বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত সোমবার দেশটির ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের লেক কাউন্টির হাইল্যান্ড পার্ক শহরে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। ঘটনার প্রায় ৮ ঘণ্টা পর পুলিশ রবার্ট ক্রিমোকে একটি বন্দুকসহ আটক করে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
লেক কাউন্টির স্টেট অ্যাটর্নি এরিক রেইনহার্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমাদের মানুষজনের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে হত্যার দায়ে তাকে (ক্রিমো) শাস্তি পেতে হবে'। তিনি আরো বলেন, 'তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত ক্রিমোর বিরুদ্ধে আরো কয়েক ডজন অভিযোগ আনা হবে।'
পুলিশ জানিয়েছে, অনুষ্ঠান দেখতে জড়ো হওয়া মানুষদের লক্ষ করে উচ্চ ক্ষমতার রাইফেল দিয়ে ৭০ রাউন্ড গুলি চালায় ক্রিমো। গুলি চালানোর পর নারীর ছদ্মবেশে ভীড়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে সে পালিয়ে যায়। প্রায় ৮ ঘণ্টা অনুসন্ধানের পর ক্রিমোকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ঘটনার সময় ব্যবহৃত রাইফেলের মতো দ্বিতীয় আরেকটি রাইফেল উদ্ধার করা হয়। এরপর তার বাড়ি থেকে আরো ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গত এক বছরে ক্রিমো ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালে ক্রিমোর বয়স যখন মাত্র ১৯ বছর, তখন সে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে আবেদন করে। তার বাবা ওই আবেদনের পক্ষে সম্মতি দেন। তবে শিকাগো সান পত্রিকায় দেওয়া এক বিৃবতিতে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্রিমোর চাচা।
অভিযুক্ত এই হামলাকারী আগে আরো দুইবার পুলিশের নজরে এসেছিলো বলে জানা যায়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে জানিয়ে এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর তার বাড়ির লোকেরা পুলিশে খবর দেয়। একই বছরের সেপ্টেম্বরে আবারো ক্রিমোর পরিবারের এক সদস্য পুলিশে খবর দেয়। ওই সময় তার বিরুদ্ধে সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এ সময় পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১৬টি ছুরি, একটি বড় ছোরা এবং একটি তলোয়ার উদ্ধার করে। তবে পুলিশ ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করেনি বা এ ঘটনায় আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
তবে এবারের ঘটনার পর রাজ্যের রেড ফ্ল্যাগ আইন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গতকাল প্রচারণার ঘোষণা দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ আইনের আওতায় একজন বিচারক 'ঝুঁকিপূর্ণ' যে-কোনো ব্যক্তির কাছে থাকা অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা এবং আরো অস্ত্র কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন।
সূত্র : বিবিসি।