স্বদেশ

বাংলাদেশে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

স্বদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:০২, ২৪ অক্টোবর ২০২২;  আপডেট: ০১:০৬, ২৯ অক্টোবর ২০২২

বাংলাদেশে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। গত বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপ থেকে ক্রমেই শক্তি বাড়িয়ে গতকাল রবিবার ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে। আজ সোমবার দিবাগত রাত থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

এ অবস্থায় দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘লঘুচাপ সৃষ্টির পর থেকেই আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পূর্বাভাস কেন্দ্রগুলোর সাথে আমরা যোগযোগ রাখছি। ঝূঁকিপূর্ণ জেলাগুলোকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে রবিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছিলো। এ সময় এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানানো হয়। এখন তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় বর্তমানে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।
   
এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়টি আরও এগিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিলে তা কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা অর্থাৎ ৭৩০ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত দেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলাতেই আঘাত হানবে বলে প্রতিমন্ত্রী সতর্ক করেন।
 
এরইমধ্যে ঝড়টির সঙ্গে তৈরি হওয়া বিশাল মেঘমালার প্রভাবে উপকূলীয় অধিকাংশ এলাকাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আজ রাত ও আগামীকালের মধ্যে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

অমাবস্যা তিথি ও বঙ্গোসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উচ্চতার জোয়ার হতে পারে বলেও আবহাওয়া অধিদফতর থেকে সতর্ক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের উপকূলীয় খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, ঝালকাঠিসহ কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এর প্রভাবে এসব এলাকায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে।

এছাড়া সন্দ্বীপ, হাতিয়া, কুতুবদিয়া ও সেন্ট মার্টিন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বেশি থাকতে পারে বলেও জানা গেছে।
এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে খুব দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত  সেখানে থাকতে বলা হয়েছে।

সূত্র : বাসস, প্রথম আলো।