অন্যান্য

পর্যটকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ থাইল্যান্ডের বায়ুদূষণ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:০৮, ১১ এপ্রিল ২০২৩;  আপডেট: ২২:১৭, ১১ এপ্রিল ২০২৩

পর্যটকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ থাইল্যান্ডের বায়ুদূষণ

চিয়াং মাইয়ের বাতাসে অতিরিক্ত দূষণ দেশটির পর্যটন খাতে প্রভাব ফেলছে।

থাইল্যান্ডের উত্তরাংশের শহর চিয়াং মাই ও এর আশেপাশের এলাকার বায়ুদূষণ পর্যটকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এসব এলাকায় বায়ু দূষণের মাত্রা ক্ষতিকর পর্যায়ে চলে গেছে। এ কারণে সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

থাইল্যান্ডের এ শহরটিতে গত মাসে টানা কয়েক সপ্তাহ বায়ুমান সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিলো। বিশ্বের বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের বৈশ্বিক সূচক অনুযায়ী এ মাত্রা পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের নয়া দিল্লি থেকেও অনেক বেশি ছিলো।

পর্বতের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, প্রাচীন উপাসনালয় ও আকর্ষণীয় রেস্তোরাঁর জন্য ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য চিয়াং মাই একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। ২০১৯ সালে করোনার প্রার্দুভাবের আগে এখানে ১০ দশমিক ৮ মিলিয়ন পর্যটকের সমাগম ঘটে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এ শহরের হোটেলে বুকিংয়ের পরিমাণ ৪৫ শতাংশে নেমেছে বলে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের উত্তরাঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ফুনাত থানালাওপানিচ। সামনের সপ্তাহে থাই নববর্ষ সংক্রান উপলক্ষে প্রত্যাশিত বুকিংয়ের তুলনায় তা অনেক কম। সংক্রান উপলক্ষে হোটেল বুকিং ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের পারতপক্ষে ঘরে থাকাসহ বাইরে বের হলে মাস্ক পড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

থাইল্যান্ডের তৃতীয় বৃহৎ শহর চিয়াং মাইয়ে আইকিউএয়ারের বায়ুমান নির্দেশক সূচক অনুযায়ী গত মার্চে বায়ুদূষণের মাত্রা ২৮৯-এ পৌঁছে। বাতাসে শ্বাস নেওয়ার উপযোগী অণুর উপস্থিতির মাত্রার ওপর ভিত্তি করে এই সূচক প্রকাশ করা হয়। গতকাল এ মাত্রা ১৭১-এ নেমে এলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাবিত মাত্রার তুলনায় তা এখনও ১৯ গুণ বেশি।

মেক্সিকো থেকে চিয়াং মাইয়ে বেড়াতে আসা ফার্নান্দা গনজালেস বলেন, 'আমি আমার ত্বকে ধুলার উপস্থিতি টের পাচ্ছি... আমি যখন আমার মুখ ধুতে যাচ্ছি তখন আমার মাস্কটির দিকে তাকিয়ে দেখতে পাচ্ছি যে এটা খুবই নোংরা হয়ে আছে।'

থাইল্যান্ড ও এর আশেপাশের দেশগুলোতে বনাঞ্চলে লাগা আগুন ও ফসল পোড়ানোকেই এ অবস্থার জন্য দায়ী করছে দেশটি। এ অবস্থায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বর্তমানে বিরাজমান ধোঁয়া কমানোর জন্য গত সপ্তাহে প্রতিবেশী দেশ লাওস ও মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রাইয়ুথ চান-ওচা।

এদিকে বায়ুদূষণের এ ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে এর ফলে সাধারণ অ্যালার্জি থেকে শুরু করে বিপদজনক ক্যান্সারের মতো রোগের আশঙ্কা করছেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা।
 
সূত্র : সিএনএন।