অর্থ ও বাণিজ্য

মন্দার কবলে যুক্তরাজ্য ও জাপানের অর্থনীতি

অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৩৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪;  আপডেট: ০০:৪০, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মন্দার কবলে যুক্তরাজ্য ও জাপানের অর্থনীতি

২০২০ সালে আঘাত আনা করোনা মহামারির পর থেকেই বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির এ বেহাল দশা শুরু হয়। ছবি : ইন্টারনেট।

মন্দার কবলে পড়েছে যুক্তরাজ্য ও জাপানের অর্থনীতি। পর পর দুইবার অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ায় এ অবস্থার শিকার হলো জাপানের অর্থনীতি। অপরদিকে সাধারণ নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে অর্থনীতির এ বেহাল দশায় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জোর প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনীতির অবস্থা তুলে ধরার পর এ আহ্বান জানান তিনি।

যুক্তরাজ্যে গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়। এর আগে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়কালে এ সংকোচনের পরিমাণ ছিলো দশমিক ১ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান  (ওএনএস) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অন্যদিকে, জাপানের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত বছরের শেষ তিন মাসে অপ্রত্যাশিতভাবে গত বছরের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ সংকুচিত হয়। এর আগের তিন মাসে দেশটির মোট জিডিপি সংকুচিত হয়েছিলো ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান হারালো জাপান। বর্তমানে এ অবস্থানটি দখল করেছে জার্মানি। তবে গত অক্টোবরেই অবস্থানের এ পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিয়েছিলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

মূলত, ডলারের বিপরীতে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের মান কম হওয়াই অর্থনৈতিক এ দুরাবস্থার কারণ। তবে ইয়েনের মান বাড়লে দেশটি আবারও এর হারানো অবস্থান ফিরে পাবে বলে ধারণা অর্থনীতিবিদদের। গত বছর ডলারের বিপরীতে জাপানি ইয়েনের মান প্রায় ৯ শতাংশ কমে বলে চলতি মাসে আইএমএফের তরফ থেকে জানানো হয়।

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যে গত অর্থবছরের শেষ তিন মাসে দেশটির প্রায় প্রতিটি খাত অর্থাৎ প্রস্তুতকারক, নির্মাণ এবং পাইকারি খাতের উৎপাদন ব্যাাপক হারে কমে যায়। এক্ষেত্রে শুধু সামান্য অবস্থা ভালো ছিলো হোটেল, যানবাহন ভাড়া এবং যন্ত্রপণ্য খাতের। ওএনএস’র এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাজ্যে ২০২৩ সালে জিডিপির পরিমাণ মাত্র দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় ছিলো খুবই অপ্রতুল। এছাড়া এটি ২০০৯ সালের পর দেশটির অর্থনীতির সবচেয়ে বাজে অবস্থা বলে ওএনএস জানায়।

মূলত, ২০২০ সালে আঘাত আনা করোনা মহামারির পর থেকেই বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির এ বেহাল দশা শুরু হয়। এর পর থেকেই বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির উপর এর নেতিবাচকপ্রভাব পড়তে শুরু করে।

এ অবস্থায় যুক্তরাজ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও প্রত্যাশিত ফল পাচ্ছে না দেশটি। বরং এর অর্থনীতির অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। এর আগে ২০২২ সালে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ছিলো মাত্র ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

উল্লেখ্য, একটি অর্থবছরের টানা দুই চতুর্থাংশে কোনো দেশের অর্থনীতির আকার সংকুচিত হলে সাধারণভাবে তাকে মন্দা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

সূত্র :বিবিসি, সিএনএন।