জলবায়ু

গাছের চারা রোপণে কেনিয়ায় বিশেষ ছুটি ঘোষণা

জলবায়ু ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:২৮, ১৩ নভেম্বর ২০২৩;  আপডেট: ২২:৩২, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

গাছের চারা রোপণে কেনিয়ায় বিশেষ ছুটি ঘোষণা

সঠিক জায়গায় সঠিক চারাটি লাগাতে ব্যবস্থা নিয়েছে কেনিয়ার সরকার।

গাছের চারা রোপণের উদ্দেশ্যে বিশেষ ছুটি ঘোষণা করেছে কেনিয়া। একদিনে দেশটিতে ১০ কোটি গাছের চারা লাগাতে আজ রবিবার এ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

আগামী ১০ বছরে দেশটিতে ১ হাজার ৫০০ কোটি গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেনিয়ার সরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়তে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দেশটির জলবায়ু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

কেনিয়ার জলবায়ু মন্ত্রী সোইপান টুইয়া এ বিষয়ে বলেন, ‘কেনিয়ার প্রতিটি নাগরিক এ উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত।’

এক্ষেত্রে ১০ কোটি চারা লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে দেশটির প্রতিটি নাগরিককে কমপক্ষে দুটি চারা লাগানোর জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানা যায়। এজন্য নার্সারিগুলোতে সরকার প্রায় ১৫ কোটি চারার জোগান নিশ্চিত করেছে।

একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন উন্মুক্ত জায়গায় চারা রোপণে দেশটির জনগণকে এসব চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে নিজেদের বাড়ির উঠান বা জমিতে রোপণের জন্য কমপক্ষে আরও দুটি চারা কেনার জন্যও জনগণকে উৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানা যায়।

কেনিয়ার পূর্বের মাকুইনি প্রদেশ থেকে চারা রোপণের পুরো কার্যক্রমটি তত্ত্বাবধান করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতো। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের গর্ভনর ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাহায্য করতে মন্ত্রীদের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।   

একইসঙ্গে কতোজন ব্যক্তি ও কতোগুলো প্রতিষ্ঠান চারা রোপণ করছে, চারার ধরন, সংখ্যা, রোপণের তারিখ সর্বোপরি পুরো প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে একটি ইন্টারনেট অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জাজা মিতি নামের এ অ্যাপ একইসঙ্গে কোন এলাকার মাটি কি ধরনের গাছের চারার জন্য উপর্যুক্ত, তা জানাতেও সাহায্য করবে বলে দেশটির জলবায়ু মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।

এক্ষেত্রে চারা রোপণে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে এবং এরইমধ্যে অ্যাপটিতে ২ কোটি মানুষ নিবন্ধন করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমকে রবিবার জলবায়ুমন্ত্রী সোইপান টুইয়া জানান।

একইসঙ্গে বিশেষ ছুটি ছাড়াও এ উদ্যোগ চলমান থাকবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সারা দেশে ৫০ কোটি চারা রোপণ করা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
 
উল্লেখ্য. সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশটিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে বহু মানুষের প্রাণহানিসহ হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণও অনেক। বিশেষ করে দেশটির উত্তরাঞ্চলে এর প্রভাব ছিলো সবচেয়ে বেশি।

সূত্র : বিবিসি।