সুপারফুড মধুর ৭ উপকার
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫; আপডেট: ১২:৪৪, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুপারফুড হিসেবে মধুর বিশেষ কদর রয়েছে সবার কাছেই।
প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া মধু নানা রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার ছাড়াও বার্ধক্য দীর্ঘায়িত করে। এসব কারণে হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে 'সুপারফুড' বলে বিবেচিত মধু। এর নানা উপকারিতা সম্বন্ধে কম-বেশি সবারই জানা রয়েছে; তবুও আরেকবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক :
১. মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্ট ভালো রাখে এবং বার্ধক্য দীর্ঘায়িত করতে অর্থাৎ শরীরের দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে ভূমিকা রাখে।
২. অন্ত্রের অর্থাৎ পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৩. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার কারণে মধু ত্বকের ছোটখাট ক্ষত ও পোড়া অংশ সারিয়ে তুলতেও সক্ষম।
৪. ঠাণ্ডাজনিত কফ ও গলাব্যথা সারাতে সাধারণ ওষুধের তুলনায় মধু বেশি কার্যকর।
৫. পরিশোধিত বা প্রক্রিয়াজাত চিনির বদলে মধুর ব্যবহার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। শরীরের জন্য ক্ষতিকর এলডিএল কমাতে এবং উপকারী এইচডিএল বাড়াতে পারে মধুর সঠিক ব্যবহার।
৬. মধুতে গ্লুকোজের পরিমাণ কম থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা চিনির তুলনায় কম বাড়ায়।
৭. মধুতে থাকা বিশেষ কিছু উপাদান দেহে প্রদাহ কমাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।
এ ছাড়াও, মধু সার্বিকভাবে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এসব কারণে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা চিনির বিকল্প হিসেবে মধু ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তবে, মনে রাখতে হবে, উপকারী হলেও মধুর ভুল বা অতিরিক্ত ব্যবহার বরং ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ কারণে দৈনন্দিন স্বাভাবিক ব্যবহারের বাইরেও নিজের স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে মধু ব্যবহার করা উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এ লেখার উদ্দেশ্য রোগনির্ণয় বা প্রচলিত ধারার চিকিৎসাব্যবস্থা দেওয়া নয়। যে-কোনো সমস্যা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে এবং কার্যকর ফল পেতে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সূত্র : এনডিটিভি।