লাইফস্টাইল

ওমিক্রনের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি অকার্যকর : গবেষণা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ২৫ জুন ২০২২;  আপডেট: ২১:৫৪, ২৬ অক্টোবর ২০২২

ওমিক্রনের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি অকার্যকর : গবেষণা

ওমিক্রনের নতুন এ দুই ধরন বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ বাড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি : সংগৃহীত।

কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর মানুষের দেহে প্রাকৃতিকভাবে এ রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। আবার, করোনাভাইরাস-প্রতিরোধী দুই ডোজ টিকা ও বুস্টার ডোজ গ্রহণের পরও মানুষের দেহে তৈরি হয় অ্যান্টিবডি। কিন্তু বেশকিছুদিন থেকেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে করোনার ওমিক্রনের নতুন উপধরনের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এতে ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণ এমনকি মৃত্যুর সংখ্যাও। উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতির মধ্যেই আরো দুঃসংবাদ দিলেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, ওমিক্রনের বর্তমান দুই উপধরন যা বিএ.৪ এবং বিএ.৫ নামে পরিচিত, দুটোই যে-কোনো ধরনের অ্যান্টিবডিকে পরাস্ত করে মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাকৃতিকভাবে বা টিকার পুরো ডোজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেহে গড়ে ওঠা দুই ধরনের অ্যান্টিবডিই নতুন এ দুই উপধরনের বিরুদ্ধে অকার্যকর। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের বেথ ইসরায়েল ডিয়াকোনেস মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হয়েছে, যারা টিকা নিয়েছেন তারা করোনায় আক্রান্ত হলেও তা চরম পর্যায়ে যাবে না। অর্থাৎ টিকা এ ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সুরক্ষা দেবে। আর নতুন এ দুই উপধরনের বিরুদ্ধে মানবদেহে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিজ্ঞানীরা টিকার কার্যক্ষমতা আরো বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলেও জানানো হয়েছে।

বোস্টনভিত্তিক বেথ ইসরায়েল ডিয়াকোনেস মেডিক্যাল সেন্টারে ভাইরোলজি ও ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ও এ গবেষণার একজন সহ-লেখক ডাক্তার ড্যান বারুশ এ বিষয়ে বলেন, 'ওমিক্রনের আগের দুই উপধরন বিএ.১ ও বিএ.২-এর তুলনায় নতুন দুই উপধরন বিএ.৪ এবং বিএ.৫ মানবদেহে করোনাপরবর্তী প্রাকৃতিকভাবে তৈরি বা টিকার কারণে সৃষ্ট অ্যান্টিবডিকে খুব সহজে দুর্বল করে দিয়ে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। এ কারণে এ দুই উপধরনের কারণে মানুষের মধ্যে আবারো ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও, যারা টিকার পুরো ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তারা নতুন এ উপধরনের কোনো-একটিতে আক্রান্ত হলেও এটা তাদের চরম ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দেবে।'

এর আগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদনেও নতুন এ দুই উপধরন নিয়ে একই ধরনের মতামত জানানো হয়েছিলো।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রনের নতুন এ দুই উপধরনে ৩৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে এ সংখ্যা ২৯ শতাংশ ছিলো বলে গত মঙ্গলবার ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সূত্রে জানা যায়। বিএ.৪ এবং বিএ.৫ এখন পর্যন্ত করোনার সবচেয়ে দ্রুত সংক্রমনশীল ধরন এবং আগামী কয়েক সপ্তাহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও তা ব্যাপক সংক্রমণ ঘটাবে বলে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র : সিএনএন।